E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

লাইসেন্স বিহীন ৮০ শতাংশ সিএনজি

চলছে অবৈধ ট্রলি, বাড়ছে প্রাণহানি

২০১৪ ডিসেম্বর ০৭ ২০:১৮:৪৫
চলছে অবৈধ ট্রলি, বাড়ছে প্রাণহানি

রায়পুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরসহ বিভিন্ন উপজেলা সড়কে বেপরোয়া গতিতে চলছে প্রায় ৫ শতাধিক অবৈধ ট্রলি ও লাইসেন্স বিহীন ২ হাজার সিএনজি অটোরিক্সা। এতে প্রাণহানিসহ প্রতিনিহত ঘটছে দূঘটনা। মাসেরপর মাস পুলিশকে মাসহারা দিয়েই চলছে এস অবৈধ ট্রলি ও লাইসেন্সবিহীন অটোরিক্স। বেশির ভাগ চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশনসহ কোনো কাগজপত্রও নেই। তবুও এ দানবজান  জেলার সর্বত্র চষে বেড়াচ্ছে। এ যন্ত্রদানবগুলোর বিরুদ্ধে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন অদ্যাবধি কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে স্থানীয়রা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কৃষি কাজে (ক্ষেত চাষ) ব্যবহৃত ট্রাক্টর দিয়ে বানানো হয় ট্রলি। স্থানীয়ভাবে বানানোর কারণে এগুলো মানসম্মত হয়না। যেন-তেনভাবে ওয়ার্কশপে বানানো হয় বডি। থাকেনা পেছনে ব্রেকও। রাস্তায় চলাচল করা এগুলো বেআইনী। অথচ জেলায় ও উপজেলায় ৫ শতাধিক ট্রলি অবৈধভাবে চলছে। এসব ট্রলি দিয়ে ইট, বালি, রড সিমেন্ট ও গাছসহ বিভিন্ন ভারী পন্য আনা-নেয়া করা হয়। বছরের পর বছর এ গাড়িগুলো রাস্তায় অবৈধভাবে চলাচল করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এতে অহরহ ঘটে দুর্ঘটনা। এ জেলায় গত তিন মাসে ছোট-বড় ৩০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৮ ব্যক্তি নিহত ও প্রায় ৮২ জন আহত হন। আহতদের বেশিরভাগই পঙ্গুগুত্ব বরণ করেছেন। সর্বশেষ ২৪ মে জেলার কমলনগর উপজেলায় মাটি বোঝাই একটি ট্রলির চাপায় রিপন (৩) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়ে। একইদিনে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের সুতারগোপটা এলাকায় এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা দু’জন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছেন। এছাড়াও ১২ মে রামগঞ্জে মাটি বহনের একটি ট্রলিচাপায় রাব্বি (৫) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

পৌর শহরের মো. মানিক ও মিজানুর রহমান নামের স্থানীয় দুজন অটোরিকশাচালক বলেন, অধিকাংশ অটোরিকশাচালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। লাইসেন্স করতে গেলে নানা ঝামেলায় পড়তে হয়। এ কারণে চালকেরা লাইসেন্স করতে চান না। তা ছাড়া লাইসেন্সবিহীন চালকদের ধরতে প্রশাসনেরও তেমন কোনো তৎপরতা ছিল না বলে তাঁরা জানান। দীর্ঘ ৭-৮ বছর ধরে ট্রলির ব্যবসা করছেন রামগঞ্জ উপজেলার মাসিমপুর গ্রামের মো. ইকবাল পাটোয়ারী। তিনি বলেন, ট্রলিতে করে কম দামে লোকজন মালামাল আনা-নেয়া করতে পারে। অবৈধ হলেও তা মানুষের উপকারে আসে। দুর্ঘটনা এড়াতে সতর্কভাবে চালাতে চালকদের কঠোরভাবে বলা হয়েছে। রায়পুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ট্রলিগুলো রাস্তায় চলাচল অবৈধ। স্থানীয়ভাবে তৈরি করা এ ট্রলিগুলোর ভারসাম্য থাকে না। এতে দুর্ঘটনা ঘটে। এগুলো রাস্তায় চলাচল বন্ধ করে দেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, রায়পুরসহ জেলার ৮০ শতাংশ সিএনজি চালকই আগে রিক্সা চালাতো। তাদের অজ্ঞতার কারনেই এসব দূর্ঘটনা ঘটছে। রেজিস্ট্রেশন ও লাইসেন্সবিহীন গাড়ী বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া কোন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করতে না পারে সেজন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।

(এমআরএস/পি/ডিসেম্বর ০৭, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test