E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রায়পুরে আ’লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

২০১৪ ডিসেম্বর ০৯ ১৬:২৯:২৩
রায়পুরে আ’লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্থানীয় আ.লীগের দু’গ্রুপের দফায়-দফায় সংঘর্ষে প্রায় ১০ দোকান ভাংচুর ও পুলিশের এসআই আবুল বাসারসহ উভয় পক্ষের ১০ জন গুরুতর জঘমের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাত ১১ টার দিকে উপজেলার চরআবাবিল ইউনিয়নের হায়দরগঞ্জ বাজারের রচিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যায়লের মাঠে এ ঘটনাটি ঘটে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে বাধ্য হয়ে ৭০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত শাহাজান ও মানিক নামের দুই আ’লীগ নেতাকে উদ্ধার করে রায়পুর সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। পুলিশসহ আহত অন্যদের সরকারী হাসপাতাল ও স্থানীয় ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ফের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মঙ্গলবার সকাল থেকে হায়দরগঞ্জ বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে এবং ব্যবসায়ীদের মাঝে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন।

প্রত্যাক্ষদশী ও স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৭-৮ মাস আগে চরবংশীর বাংলা বাজার এলাকায় যায় হায়দরগঞ্জ এলাকার সজিব, সোহাগ ও রেজাউলসহ কয়েকজন। ওই সময় বাংলাবাজার এলাকার আ’লীগ নেতা করিম ডালীর অনুসারী কয়েকজন বখাটে। এঘটনার কয়েকদির পরে স্থানীয় শালিস বৈঠকে অভিযুক্তদের দোষি সাব্যস্ত করে জরিমানা করা হয়। পরে অভিযুক্তরা জরিমানার টাকা না দিয়ে নানান তালবাহানা করতে থাকে। সোমবার সন্ধ্যায় হায়দরগঞ্জ বাজারের রচিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ব্যাটমিন্টন খেলতে আসেন ওই অভিযুক্ত বখাটেরা।

এসময় হায়দরগঞ্জ এলাকার শাকিলের সাথে বখাটে জাফরের কথা কাটাকাটি হয় এবং উভয় পক্ষের লোকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে রাত ১১ টায় এঘটনাকে কেন্দ্র করে আ’লীগ নেতা আব্দুল করিম ডালী নেতৃত্বে তার অনুসারী ১৫-২০ জন সাবেক যুবলীগ নেতা মহিউদ্দিনসহ তার লোকদের ধাওয়া করে বাজারের দুলাল হাওলাদার, মোহাম্মদ আলী খোকন, ওসমান গনি ও মনির হোসেন স্বপনসহ প্রায় ১০টি দোকান ভাংচুর করে। খবর পেয়ে হাদরগঞ্জ ফাড়ি ও রায়পুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থালে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনতে প্রায় ৭০ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেন। এসময় রায়পুর থানার উপ-পরিদর্শক আবুল বাসার, হাবিলদার মনির, আ.লীগ নেতা শাহজাহান ও মানিকসহ অন্তত ১০ জন গুরুত জখম হয়। এঘটাকে কেন্দ্র করে বাজারে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে অতিরিক্তি পুলিম মোতায়েন রাখা হয়েছে।

এঘটনায় যোগাযোগ করা হলে করিম ডালী ও মানিকসহ তার লোকজন পরষ্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন।

চবআবাবিল ইউনিয়নরে ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা সহিদ উল্যা বিএসসি বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় লোকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুরের ঘটনা দুঃখজনক। এঘটনায় দোষি ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

রায়পুর থানার ওসি একেএম মনজুরুল হক আকন্দ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের উপর হামলা হওয়ায় এবং পরিস্থিতি নিয়নন্ত্রক রাখতে ৭০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়া হয়েছে। গুলিতে কেউ আহত হয়নি। এসময় কাউকে আটক করা যায়নি এবং হারদগঞ্জ বাজারে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। এঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

(এমআরএস/এএস/ডিসেম্বর ০৯, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test