E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আসামি মাহাবুবুর, কারাগারে আশিকুর !

২০১৪ ডিসেম্বর ১৫ ১৬:৩৪:৫৪
আসামি মাহাবুবুর, কারাগারে আশিকুর !

লক্ষ্মীপুর থেকে এম আর সুমন : হরতালে সহিংসতার একটি মামলার আসামি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চরমোহনা গ্রামের শিবির কর্মী মাহাবুবুর রহমান। অথচ পুলিশ ওই মামলায় গ্রেপ্তার করেছে একই গ্রামের আশিকুর রহমান খান মাহাবুবকে। ১০ দিন ধরে রায়পুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী আশিকুর কারাগারে। এতে তার এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আজ সোমবার থেকে ফরম পূরণ শুরু।

গ্রেপ্তার করা আশিকুর রহমান খান মাহাবুবের বাবার নাম আবদুল ওহাব খান। আর এজাহারে মামলার আসামি মাহাবুবুর রহমানের বাবার নাম লেখা রয়েছে হেলাল উদ্দিন।

রায়পুর থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, বিষয়টি ভুল হয়ে গেছে। ডাকনাম মাহাবুব থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এখন আর ভুল স্বীকার করার সুযোগ নেই। ভুল শিকার করতে গেলে নিজেরা বেকায়দায় পড়বেন।

থানাসূত্রে জানা গেছে, গত বছরের আগস্টে হরতাল চলাকালে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা বর্ডার বাজার এলাকায় লক্ষ্মীপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিমের গাড়িতে হামলা করেন। ওই দিন তিন ঘণ্টা ধরে পুলিশের সঙ্গে শিবির কর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশসহ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। ওই ঘটনায় রায়পুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল বাশার বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। মামলার আসামিদের একজন চরমোহনা গ্রামের শিবির কর্মী মাহাবুবুর রহমান। পুলিশ গত জুন মাসে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দিলে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।


চরমোহনা গ্রামে গিয়ে এই প্রতিবেদক আশিকুর রহমানের প্রতিবেশীসহ কয়েকজন বলেন। আশিকুর রহমান মাহাবুব শান্ত প্রকৃতির ছেলে। কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্যও না। পরিবারটিও নিরীহ। পুলিশ হঠাৎ তাকে রাতে তাদের ঘরে এসে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যান। অথচ শিবির কর্মী প্রকৃত মাহাবুবুর রহমান এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরছেন।

আশিকুর রহমানের বাবা আবদুল ওহাব খান বলেন, ছেলের জন্মসনদ, কলেজের পরিচয়পত্র ও সনদে আশিকুর রহমান খান লেখা। পুলিশ অন্যায়ভাবে গত শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তার করে। আদালত শীতকালীন বন্ধ থাকায় জামিনের আবেদন করতে পারছি না। আজ সোমবার থেকে তার এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু হয়েছে। কিন্তু সব এখন এলোমেলো হয়ে গেছে। পুলিশের ভুলের খেসারত আমার ছেলে দিবে ?

যোগাযোগ করা হলে রায়পুর থানার পরিদর্শক (ওসি/তদন্ত) মো. সোলায়মান চৌধুরী বলেন, ঘটনাটি আমি অবগত নই। তবে পুলিশের ভুলে এমনটি হলে, তা দুঃখজনক।

(এএস/ডিসেম্বর ১৫, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test