E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

৫ মে নিহত হেফাজত কর্মীকে চট্রগ্রামে জীবিত উদ্ধার

২০১৪ ডিসেম্বর ১৮ ০৮:৪৯:১৬
৫ মে নিহত হেফাজত কর্মীকে চট্রগ্রামে জীবিত উদ্ধার

চট্রগ্রাম প্রতিনিধি : ২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে গত বছরের হেফাজতের অবস্থান কর্মসূচিতে ‘নিহত’ হওয়ার প্রায় ১৯ মাস ছর পর জীবিত উদ্ধার হয়েছেন সংগঠনটির এক কর্মীকে।

বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার থানার মিছকিন শাহর মাজার থেকে উদ্ধার করা হয় সেই মাদরাসা ছাত্র ফারুককে (১৬)। সে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার নবাবপুর শিংগাডা এলাকার সোলায়মান বিন মোবারকের ছেলে। সে পড়তো ঢাকার বাড্ডার উম্মুল ক্বোরা ইসলামিক একাডেমির পঞ্চম শ্রেণীতে।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (ডিবি) হাছান চৌধুরী জানান, ‘চট্টগ্রাম থেকে একটি মোবাইল ফোনে তার মাকে ফারুক নামে কেউ ফোন করে। এরপরই কুমিল্লায় একটি জিডি করা হয়। সেই জিডির তদন্তের সূত্র ধরে পরিবারের কাছে ‘মৃত’ ফারুককে মিছকিন শাহর মাজার থেকে উদ্ধার করা হয়।’

গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গত বছরের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতের অবস্থান এবং মাঝরাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে তাদের সরিয়ে দেয়ার ঘটনার পর থেকে ফারুক নিখোঁজ ছিল। তার পরিবার ধরে নিয়েছিল সে ওই অভিযানে নিহত হয়েছে। তার মৃত্যু হয়েছে ধরে নিয়ে ২০১৩ সালের ৭ মে গায়েবানা জানাজা পড়েছিল এলাকাবাসী। ওই সময়ে ধর্মীয় রীতি মেনে হয়েছিল তার কুলখানি ও চেহলামও। এমনিক এ বছরের ৫ মে সন্তানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীও পালন করেছে পরিবার।’

তিনি বলেন, ‘কিন্তু প্রায় একমাস আগে অপরিচিত একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফারুকের মায়ের মোবাইলে ফোন করে নিজেকে ফারুক পরিচয় দেয় এক ব্যক্তি। এ ব্যাপারে কুমিল্লার চান্দিনা থানায় গত ১০ ডিসেম্বর একটি জিডি করা হলে সেই জিডির সূত্র ধরে বুধবার বিকেলে মিছকিন শাহর মাজার থেকে ফারুককে উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ।’

গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘শাপলা চত্বরের ঘটনার পরদিনই সে চট্টগ্রাম চলে আসে এবং এতদিন বিভিন্ন মাজারে আত্মগোপনে ছিল। তবে কেন আত্মগোপনে ছিল এ বিষয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে কিছুই জানায়নি। তাকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’

উল্লেখ্য, শাহবাগ আন্দোলনে সম্পৃক্ত ব্লগারদের ‘নাস্তিক’ আখ্যা দিয়ে তাদের ফাঁসির দাবি তুলে ১৩ দফা দাবিতে ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকা অবরোধ করে কওমি মাদরাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামি বাংলাদেশ। হেফাজতের পক্ষ থেকে সহস্রাধিক মানুষ নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হলেও তারা এখনো শক্ত কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেনি সংঘটনটি।

(ওএস/অ/ডিসেম্বর ১৮, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test