E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পটিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসে চরম দুর্নীতি!

২০১৪ ডিসেম্বর ২০ ১৫:০৬:২৩
পটিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসে চরম দুর্নীতি!



পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের পটিয়ায় ২৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী নিয়োগে প্রার্থীদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে অন্য প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের করনখাইন গ্রামের মৃত শ্যামল চৌধুরীর ছেলে করনখাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষায় ১ম হয়েও চাকুরী না পাওয়ায় গত ০৮.১২.১৪ (সোমবার) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট সুর্নির্দিষ্টভাবে লিখিত অভিযোগ করেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোতাহের বিল্লাহ ২য় স্থানে থাকা সানন্দ চৌধুরীর পক্ষ থেকে উৎকোচ নিয়ে কর্মচারী নিয়োগ প্রদান করেন। এমন অভিযোগ রয়েছে উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের নিয়োগের ক্ষেত্রেও। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধীনে দেশের বিভিন্ন এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

সে অনুযায়ী চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ২৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওই পদে নিয়োগের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। প্রজ্ঞাপনে প্রার্থী বাছাই ও তিন জনের প্যানেল তৈরির কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয় সংশ্লিষ্ঠ বিদ্যালয়ের সভাপতি, প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার বা তার মনোনীত প্রতিনিধি (এটিও)কে। ওই প্যানেল থেকে একজনকে চুড়ান্ত নিয়োগ দেবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। আর স্থানীয় সংসদ সদস্য রয়েছেন নিয়োগ কমিটির উপদেষ্টা। এর প্রেক্ষিতে বিভিন্ন স্কুলে আবেদন করা প্রার্থীদের পরীক্ষাও গ্রহন করে ওই কমিটি। পরীক্ষা গ্রহনের পর স্ব-স্ব বিদ্যালয়ে বসেই প্যানেলে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করা প্রার্থীদের নামও ঘোষণা করেন তিন সদস্যর কমিটি।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মিঠুন চৌধুরী করনখাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উক্ত পদে গত ২৮ মে অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন। ওই দিনই প্যানেল তৈরি করা নিয়োগ বোর্ডের সদস্য ওই স্কুলের সভাপতি লায়ন শংকর সেন গুপ্ত, প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তার মনোনীত প্রতিনিধি (এটিও) উপস্থিতিদের সামনে প্যানেল তালিকা ঘোষণা করেন। তাদের ঘোষণা অনুযায়ী ও লিখিত কাগজপত্রে মিঠুন চৌধুরী ১ম স্থান অধিকার করেন। কিন্তু গত ১ ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকেয়া পারভীন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ (স্মারক নং৭৯৩) তালিকায় মিঠুন চৌধুরীর পরিবর্তে প্যানেলে ২য় স্থানে থাকা মৃত রনজিত চৌধুরীর ছেলে সানন্দ চৌধুরীকে নিয়োগ চুড়ান্ত করা হয়। ওই নিয়োগ পত্রের অনুলিপি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরেও প্রেরণ করা হয়েছে। মিঠুন চৌধুরী সুনির্দিষ্ঠ লিখিত অভিযোগে জানান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোতাহের বিল্লাহ ২য় স্থানে থাকা সানন্দ চৌধুরীর পক্ষ থেকে উৎকোচ নিয়ে তাকে নিয়োগ প্রদান করেন। এমন অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন স্কুলের নিয়োগের ক্ষেত্রেও।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোতাহের বিল্লাহ জানান,‘উৎকোচ নেয়ার অভিযোগটি সঠিক নয়’।


এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকেয়া পারভীন পটিয়া প্রতিনিধিকে জানান, ‘আমি সুনির্দিষ্ট লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে’।

বিষয়টি করনখাইন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি লায়ন শংকর সেনগুপ্তর কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘মিঠুন চৌধুরী নিয়োগ পরীক্ষায় ১ম স্থান অধিকার করলেও কি কারণে তার পরিবর্তে অন্যজনকে নিয়োগ দেয়া হলো তা আমার জানা নেই’।
এ ব্যাপারে পটিয়ার এমপি সামশুল হককে জানালে তিনি বলেন বিষয়টি তদন্ত করে দোষীকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

(এসসি/এএস/ডিসেম্বর ২০, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test