E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

জাল সনদের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

২০১৪ ডিসেম্বর ২৩ ২০:৩৪:১৬
জাল সনদের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার বাঁশবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামকে জাল সনদে নিয়োগ নিয়ে তিন বছর ধরে চাকুরীতে বহাল থাকার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করেছে ম্যানেজিং কমিটি। এর আগে এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রেরণ করে ম্যানেজিং কমিটি। অভিযুক্ত শিক্ষক তার সমর্থনে কোন প্রমাণাদি দেখাতে পারেনি বলে তাকে সাময়িক বরখাস্থ করা হয়েছে বলে জানান কমিটির শীর্ষ পর্যায়ের এক সদস্য।  তবে শিক্ষক শহিদুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে দাবী করে জানান, তাকে সাময়িক বহিস্কার করার কোন চিঠি তিনি হাতে পাননি।

স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি সুত্রে জানাযায়, ২০১১ সালের জুলাই মাসে বাঁশবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হলে রহিমানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের তৎকালীন শরীরচর্চা শিক্ষক শহিদুল ইসলাম আবেদন করেন। অভিযোগ ওঠে তিনি পূর্ব অভিজ্ঞতার সাথে ২০০৭ সালে পাশ দেখিয়ে দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটির জাল বিএড সনদসহ আবেদন করে চাকরি নেন। ওই সময় অভিজ্ঞতার সনদে শরীরচর্চার শিক্ষক বিষয়টিও তিনি গোপন রাখেন। এদিকে দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ বরাবর শিক্ষক শহিদুল ইসলামের সনদ যাচাইয়ের আবেদন করা হলে ২০১১ সালের ২৬ অক্টোবর ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সাক্ষরিত ৫(২৫)/ডিআইইউ/২০১০/পার্ট-৪/১৭২৪ স্মারকের এক পত্রে তার সনদ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত নয় বলে জানানো হয়।

এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের সহকারি শিক্ষক আবদুল আওয়াল সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। একই সাথে অধিদফতরের আঞ্চলিক উপ-পরিচালক, নাটোর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দফতরে অনুলিপি প্রেরণ করেন। এরই প্রেক্ষিতে ম্যানেজিং কমিটি কারন দর্শানোর নোটিশ প্রেরণের পর সোমবার এক সভায় ম্যানেজিং কমিটি প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করে একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিমকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়। একই সাথে দুই অভিভাবক সদস্য সাজেদুর রহমান ও আজমত আলী এবং কম্পিউটার বিষয়ের সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলামকে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

অভিযুক্ত শিক্ষক এধরনের অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই বলে দাবী করে জানান,তাকে বরখাস্ত করার স্বপক্ষে কোন চিঠি হাতে পাননি। দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক রেজাউল করিম জানান, তাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য একটি লিখিত চিঠি তাকে দেওয়া হয়েছে। ম্যানেজিং কমিটির দেওয়া চিঠিটি তিনি মঙ্গলবার হাতে পেয়েছেন। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুর রহমান দুলাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শিক্ষক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে জাল সনদের অভিযোগ পাওয়ার পর ৬টি কারন দশানোর নোটিশ দিয়ে জবাব চাওয়া হয়। কিন্ত তিনি তার স্বপক্ষে সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। সোমবার ম্যানেজিং কমিটির সকল সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সাথে বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক রেজাউল করিমকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

(এমআর/পি/ডিসেম্বর ২৩, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test