E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বরগুনায় গাছ কাটার অভিযোগে ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

২০১৪ ডিসেম্বর ২৪ ১৪:৫৫:৪৭
বরগুনায় গাছ কাটার অভিযোগে ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনার আমতলীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ মেরামতের নামে তিন শতাধিক গাছ কেটে ফেলার ঘটনায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার রাতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলার বাদী আমতলী উপজেলার সেকান্দারখালী গ্রামের নুরুল ইসলাম মুন্সী মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


পানি উন্নয়ন বোর্ড বরগুনার নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল মালেক, আমতলীর বন কর্মকর্তা আবদুল হাই সেলিম, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সিদ্দিকুর রহমান মৃধাসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় এ তিনি মামলা দায়ের করেন ।

জানা গেছে,আমতলী উপজেলার দফাদার ব্রীজ ও সেকান্দারখালীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ মেরামতের নামে গত কয়েকদিন ধরে বন বিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় এমবিএল নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কোন আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই তিন শতাধিক নানা ফলজ ও বনজ গাছ কেটে ফেলে।

স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে গত রবিবার আমতলীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান সরেজমিনে পরিদর্শন করে গাছ কাটা বন্ধ করে দেন।

আমতলী বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯-২০০০ সালে সবুজ বেষ্টনীর আওতায় বন বিভাগ ৪৩/১ নং পোল্ডারের দফাদারের ব্রীজ থেকে সুবন্দি বাঁধ পর্যন্ত এবং সেকান্দারখালী গ্রামে সমিতি গঠনের করে ১০ হাজার ফলজ এবং বনজ বৃক্ষের চারা রোপন করে।

সরকারি চুক্তি অনুযায়ী এ গাছ ২০ বছর পর কাটার কথা। কিন্তু চলতি বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করে। কাজটি পায় এমবিএল নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি বন বিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় বাঁধ মেরামতের নামে দফাদারের ব্রীজ থেকে সুবন্দি বাঁধ পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার এবং সেকান্দারখালী গ্রামের ৩ কিলোমিটার বাঁধের কয়েক’শ গাছ নির্বিচারে কেটে ফেলে। কাটা গাছের মধ্যে রয়েছে রেইনট্রি, চাম্বল, বাবলা, নারিকেলসহ বহু ফলের গাছ।

আতলীর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গাছ কাটার জন্য উপজেলায় একটি ক্রয় বিক্রয় কমিটি রয়েছে। সরকারি কোন গাছ কাটতে হলে টেন্ডারের মাধ্যমে কাটার নিয়ম থাকলেও বন বিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা সে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করেননি।

আমতলীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, বন বিভাগ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড সম্পূর্ণ অবৈধভাবে টেন্ডার ছাড়াই সবুজ বেষ্টনীর গাছ কেটেছেন।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুকুমার রায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

(এমএইচ/এএস/ডিসেম্বর ২৪, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test