মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে সংবাদ সম্মেলন

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আ’লীগের দু’গ্রুপের দফায়-দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের মামলায় আ.লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে বৃহস্পতিবার দুপরে উপজেলার হায়দরগঞ্জ বাজারের একটি দোকানে এক সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলন করেন ওই মামলা আসামী ওয়ার্ড আ.লীগ নেতা তোফায়েল, তার দুই ছেলে ছাত্রলীগ নেতা কবির হোসেন ও মনির, একই এলাকার মো. মনির হোসেন, যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, কবির হোসেন ও ইউসুফ। এসময় তাদের সাথে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি দুলাল হাওলাদার, ইউনিয়নর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইজ উদ্দিন মোল্লা, আ.লীগ নেতা হিরণ হাওলাদার, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি কৌশিক আহম্মেদ সোহেল, যুবলীগ নেতা বাবুল মোল্লা ও ইউনিয়ণর ছাত্রলীগ সভাপতি বিল্লাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আজিজ।

সংবাদ সম্মেলনে তারা লিখিত ভাবে জানান, হায়দরগঞ্জ বাজারে আ,লীগের দলীয় কোন্দল থাকায় পদ বঞ্চিত হওয়ায় কিছু নেতাকর্মীরা ব্যডমন্টিল খেলাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। তোফায়েল, কবির হোসেন, মনির-১, মো. মনির হোসেন-২, জাহাঙ্গীর হোসেন ও ইউসুফসহ অনেকই উপজেলা আ.লীগের দায়িত্বশিল নেতাকর্মীদের সাথে দির্ঘদিন ধরে আ.লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের রাজনীতি করে আসছেন। এতে ওই পদ বঞ্চিত কিছু নেতা ওই ঘটনায় পুলিশকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে নেতাকর্মীদের এ মিথ্যা মামলা জড়ান। অথচ এঘটনায় অনেকেই ওই দিন এলাকায় ও বাজারে উপস্থিত ছিলনা এবং ঘটনার সাথে জড়িত নয়। তার পরেও পুলিশ টাকার লোভে ওই মামলায় তাদের নাম জড়িয়ে আসামী করেন।

তারা আরও জানান, এঘটনায় সাথে জড়িত না থেকেও ওই মামলায় আসামী হয়ে অনেকেই এখন কারা ভোগ করছেন এবং অনেকেই সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এসময় তারা এঘটনার সঠিক তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।

রায়পুর উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইসমাইল হোসেন খোকন, যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল হাসান রাছেল ও ছাত্রলীগের সভাপতি মারুফ বিন জাকারিয়া বলেন, দলীয় কর্মকান্ডে বিভিন্ন এসব নেতাকর্মীরা রাজপথে সক্রিয় থাকায় স্থানীয় আ.লীগের কিছু সুবিধাবাদি নেতাকর্মীরা পুলিশকে টাকা ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে সক্রিয় কর্মীদের মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এঘটনায় সাথে জড়িত না থাকা সত্যেও নেতাকর্মীরা এখন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এবং অনেকেই কাগারাগে আছেন। তারা নেতাকর্মীদের মিথ্যা ও সড়যন্ত্রমূলক মামলা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

মামলার বাদী ও হায়দরগঞ্জ ফাঁড়ি থানার এসআই মহিন উদ্দিন বলেন, কোন লোভে বা কারও পরোচনায় কোন আসামী করা হয়নি। এঘটনায় সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আসামী করা হয়েছে। তার পরেও যদি কোন আসামী ভুলবশত হয়ে থাকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত- গত ৮ ডিসেম্বর রাত রায়পুর উপজেলার হায়রদগঞ্জ বাজারে রচিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যায়লের মাঠে ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আ.লীগের দু’গ্রুপের দফায়-দফায় সংঘর্ষে পুলিশের এসআই আবুল বাসারসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহতের ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ ৭০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এঘটনার পর দিন পুলিশে এসআই মহিন উদ্দিন বাদী হয়ে ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে প্রায় ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামালা করেন।

(এমআরএস/এএস/ডিসেম্বর ২৫, ২০১৪)