E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

লক্ষ্মীপুরে মেয়রের হাতে পুলিশ কর্মকর্তা লাঞ্ছিত

২০১৫ জানুয়ারি ০৩ ১১:৩২:৫৬
লক্ষ্মীপুরে মেয়রের হাতে পুলিশ কর্মকর্তা লাঞ্ছিত

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র ও সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরের হাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মোস্তফা আনোয়ার লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শহরের চকবাজার জামে মসজিদের পেছনে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় ঘটা ওই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

একই সময় ওই মেয়রের নির্দেশে সাবেক পৌর যুবলীগ নেতা আমীর হোসেন দুলালও ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে থাপ্পড় মেরেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় লাঞ্ছিত মোস্তফা আনোয়ার বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই আমীর হোসেন দুলালকে প্রধান আসামী ও ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মোস্তফা আনোয়ার শুক্রবার বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় জেলা শহরের চকবাজার জামে মসজিদের পেছনে আমার মোটরসাইকেলটি রেখে আমি দাঁড়িয়ে থাকি। ওই স্থানে মসজিদের উন্নয়নমূলক কাজ চলছিল। এ সময় আমীর হোসেন দুলালসহ কয়েকজন এগিয়ে এসে আমাকে ধমক দিয়ে জিজ্ঞাসা করে মোটরসাইকেলটি কার?’

তিনি বলেন, ‘তখন আমি তাদেরকে আমার পরিচয় জানাই। তারা পুলিশকে বিদ্রুপ ও আমাকে গালাগালি করে ‘মেয়রকে দেখিস না বেটা’ বলে শাসায় এবং থাপ্পড় মারে। এ সময় পেছন দিক থেকে মেয়র আবু তাহের এগিয়ে এসে তাদের সাথে আমাকে ধাক্কা দিতে দিতে অনেক দূর নিয়ে যায়।’

এ ঘটনার পর খবর পেয়ে লক্ষ্মীপুর সদর থানা এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি/সদর) মো. নাসিম মিয়া ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে বলে জানান আনোয়ার।

দায়ের করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, তালিকাভুক্ত ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মিন্টু চকবাজার এলকায় অবস্থান করছিল। এ খবর পেয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতারের জন্য চকবাজারে যায়। এ সময় লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র আবু তাহের ও অন্যান্য লোকজনের উপস্থিতিতে পৌরসভার বাঞ্চানগর গ্রামের মৃত নুরুজ্জামান মাষ্টারের ছেলে আমীর হোসেন দুলালসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন লোক লাটিসোটা নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তার ওপর হামলা করে। এ সময় তারা পুলিশ কর্মকর্তাকে সরকারি কাজে বাধা দেয় এবং হত্যার উদ্দেশ্যে কিল-ঘুষি মেরে গুরুতর আহত করে। আহত পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আমীর হোসেন দুলাল বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। ঘটনার পর আমি এসেছি।’

জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান সাফিউর রহমান জানান, এ ঘটনায় সদর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

(ওএস/এইচআর/জানুয়ারি ০৩, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test