E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রামগঞ্জে নির্মানাধীন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে দখলের চেষ্টা

২০১৫ জানুয়ারি ০৩ ২০:০৯:০০
রামগঞ্জে নির্মানাধীন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে দখলের চেষ্টা

রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌর ৫নম্বর ওয়ার্ড নন্দনপুর গ্রামের বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী মিজানুর রহমানের নির্মানাধীন ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করছে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। এ ঘটনায় ৩০ জানুয়ারী রামগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হলেও পুলিশ অধ্যাবদি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

স্থানীয় সূত্র ও সম্পত্তির মালিক মিজানুর রহমান জানান, ৬৬ নং নন্দনপুর মৌজার ১৫ নম্বর খতিয়ানের সাবেক ১৫ নম্বর দাগের (হাল দাগ ২২) অন্দরে ১১.৫০ শতাংশ ভূমির কিছু অংশে একটি ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ অব্যাহত রাখি। বিগত কয়েকমাস যাবত নিজ ক্রয়কৃত সম্পত্তির পুকুর ভরাট করে গত ১৫ দিন উক্ত স্থানে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান নির্মানের কাজ করার পর মঙ্গলবার গভীর রাতে একই গ্রামের স্থানীয় যুবলীগ নেতা ফারুক হোসেন সোহেল উপজেলা ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতার সহযোগিতায় ৭/৮ জন লোক নিয়ে লোহার রড, লাঠি ও সাবল নিয়ে নির্মানাধীন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। এসময় আমরা টহল পুলিশকে বিষয় জানিয়ে হামলাকারীদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে হামলাকারীরা আমাদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে।


মামলার কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ৬৬ নম্বর নন্দনপুর মৌজার দাগ নং ২২ এর ১৫ শতাংশ ভিটার মালিক দেলোয়ার হোসেন, একই খতিয়ান ও দাগের ১৭ শতাংশ ভিটার মালিক মোশারফ হোসেন, ৫৪৪/২২ এর ৩১ শতাংশ ভিটার মালিক নুর মোহাম্মদ। একই খতিয়ান ও দাগ নম্বরের হোসনেআরা বেগমের কাছ থেকে মিজানুর রহমান ও আবদুল মতিন গং ২৩ শতাংশ পুকুর ও ভিটার সম্পত্তি ক্রয় করেন।

একই খতিয়ান ও দাগের ০৭ শতাংশ অর্পিত সম্পত্তি ভিটির দখলে রয়েছে মিজানুর রহমান গংদের কাছে। এ অর্পিত সম্পত্তির নিজেদের ভোগ দখলে দেখিয়ে নন্দনপুর গ্রামের মৃত আবদুল করীমের স্ত্রী ও যুবলীগ নেতা ফারুক হোসেনের মা আনোয়ারা বেগমগং এস এ রেকর্ডকৃত নগোন্দ্র কুমার পিতা লক্ষ্মীকান্ত সাং নন্দনপুর নামীয় (হাল সাং ভারত) ব্যাক্তির ভূমি ও অনিবাসী তফছিলের বাংলাদেশ গেজেটের ১২৫৯৭৭ পৃষ্টায় ০৭ নং গেজেটকৃত সম্পত্তি পৃথক নাম জারির জন্য জমা খারিজের আবেদন করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসার মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম সরেজমিনে তদন্ত করে তার সত্যতা না পেয়ে তাদের আবেদন না মঞ্জুর করলে ক্ষীপ্ত হয়ে মনোয়ারা বেগমের বড় ছেলে ফারুক হোসেন সোহেল আদালতে ১৪৪ ধারা জারির আবেদন করে ঐ রাতেই ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা মিলে মিজানুর রহমানের নির্মানাধীন ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে মাটির সাথে গুড়িয়ে দেয়। সৃষ্ট ঘটনায় মিজানুর রহমান প্রশাসনের নিকট সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক ব্যাবস্থা নেয়ার জোর দাবী জানিয়েছেন।

এ ব্যপারে অভিযুক্ত ফারুক হোসেন সোহেল জানান, আমি উক্ত সম্পত্তিতে ঘর নির্মান বন্ধ রাখার জন্য লক্ষ্মীপুর আদালতে অভিযোগ দায়ের করলে আদালত উক্ত স্থানে ১৪৪ ধারা জারি করেন। ভাংচুরের ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা।

(এমএএইচ/পি/জানুয়ারি ০৩, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test