E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মান্দার কেকে উচ্চ বিদ্যালয়ে ভাড়াটিয়া শিক্ষক দিয়ে চলছে পাঠদান!

২০১৫ জানুয়ারি ২০ ২০:২৬:৪৪
মান্দার কেকে উচ্চ বিদ্যালয়ে ভাড়াটিয়া শিক্ষক দিয়ে চলছে পাঠদান!

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর মান্দা উপজেলা সদরে অবস্থিত একমাত্র বালক বিদ্যাপিঠ কয়াপাড়া কামারকুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ৪জন শিক্ষকের পদ। প্রধান শিক্ষকের পদটিও শূন্য রয়েছে ১২ বছর ধরে। শিক্ষক সংকটের কারণে পাঠদান কার্যক্রম চলছে ভাড়া করা শিক্ষক দিয়ে। পরপর ৪ দফায় গঠিত এডহক কমিটি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কাজ। এতে শিক্ষকদের মাঝে সমন্বয়হীনতা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। ধস নেমেছে পাঠদান কার্যক্রমে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক বিনয় কুমার রায়, ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক আক্কাস আলী সরকার, শরীরচর্চা শিক্ষক বিনোদ বিহারী অবসরে যাওয়ায় পদগুলো শূন্য হয়ে পড়ে। এছাড়া কম্পিউটার বিষয়ের শিক্ষক আজহারুল ইসলাম সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ নেয়ায় এ পদটিও শুন্য হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও শূন্য পদগুলোতে কোনো শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয় নি। এতে বিদ্যালয়টিতে চরম শিক্ষক সংকট দেখা দেয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য ও পরিচালনা কমিটি না থাকায় সৃষ্ট জটিলতা নিরসন হচ্ছে না।

এদিকে শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ না দিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আজহারুল ইসলাম চারজন শিক্ষককে ভাড়ায় এনে পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছেন। এরা হলেন, আল আমিন জুয়েল, আয়নাল হক, কামাল হোসেন ও আব্দুর রাকিব। এদের মধ্যে আব্দুর রাকিব এইচএসসি পাস বলে নিশ্চিত করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক। এসব ভাড়াটিয়া শিক্ষক দিয়ে জেএসসি পরীক্ষায় কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করিয়ে নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
শিক্ষার্থী অভিভাবক ফকরুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, বকুল হোসেনসহ আরো অনেকে জানান, শিক্ষকদের মাঝে সমন্বয় না থাকায় পাঠদান কার্যক্রমে ব্যাপক ধস নেমেছে। এতে বিগত পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে ফলাফল ছিল হতাশাব্যঞ্জক। বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটি না থাকায় শিক্ষকদের মাঝে সমন্বয়হীনতা দেখা দিয়েছে। শিক্ষকরা নিজেদের খেয়াল খুশিমত বিদ্যালয়ে আগমন ও প্রস্থান করে থাকেন বলেও দাবি করেন তারা।

শিক্ষার্থী অভিভাবকদের অভিযোগ, শিক্ষক আব্দুর রাকিবের নিকট ইংরেজি বিষয়ে প্রাইভেট পড়ার জন্য বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আজহারুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের ওপর নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করে আসছেন। এইচএসসি পাশ ভাড়াটিয়া ওই শিক্ষকের নিকট প্রাইভেট পড়তে অস্বীকৃতির কারণে শিক্ষার্থীদের ওপর শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলেও তাদের অভিযোগ। অবিলম্বে এসব শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন তারা। তবে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আজহারুল ইসলাম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হন নি। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক দপ্তরে জবাব দাখিল করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

(বিএম/পি/জানুয়ারি ২০, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test