E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কাপাসিয়ায় শীতলক্ষ্যা তীরে ২ হাজার বর্গ মিটার ভূমিতে ধস

২০১৫ জানুয়ারি ২৫ ১৮:১৪:৪০
কাপাসিয়ায় শীতলক্ষ্যা তীরে ২ হাজার বর্গ মিটার ভূমিতে ধস

কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি : কাপাসিয়া উপজেলা সদরের দস্যু নারায়নপুর গ্রামে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে আজ রবিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ফের ২ হাজার বর্গ মিটার ভূমি দেবে গেছে এবং অনেক জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। ওই এলাকায় হঠাৎ বার বার ভূমি দেবে যাবার ও নদীর তীর ধসে যাওয়ায় তীরবর্তী এলাকাসীর মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী এ ঘটনার জন্য নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলনকে দায়ী করেন।

এলাকাবাসী ও ঘটনাস্থল পরিদর্শে গিয়ে জানা যায়, কাপাসিয়া- শ্রীপুর সড়কের দস্যু নারায়নপুর গ্রামের শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ বালিকা বিদ্যালয়ের উত্তর পাশের একটি পুরাতন ইটা বাটাসংলগ্ন শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে এ ঘটনাটি ঘটে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে প্রায় ৩শত ফুট দীর্ঘ ও স্থান বেধে ১৫ থেকে ২০ ফুট চওড়া হয়ে প্রায় ৩০ ফুট নীচে ভ’মি দেবে পাশের্^র শীতলক্ষ্যা নদীর দিকে চলে গেছে। বৃহৎ আকার মাটির খন্ড গুলোতে কাঁঠাল, আম, বাঁশ ও অন্যান্য গাছ নদীতে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে এবং কিছু জায়গা নদীতে ধসে গেছে। কাপাসিয়া থেকে দস্যু নারায়নপুর বাজার সড়কের উভয় পাশের প্রায় ২৫/৩০টি অবৈধ বালুর গদি রয়েছে। দেবে যাওয়া ভ’মি গুলোতে ও বালুর গদি ছিল। ক্ষতিগ্রস্থ ভ’মি মালিকরা হলো ব্যাংক কর্মকর্তা মনির হোসেনের ৩ বিঘা জায়গার আংশিক, জামান প্রধান, অন্তর আলী, সফিকুল ইসলাম শফি। তারা নদী তীরের কৃষি এ জমি গুলোতে বালু ব্যবসায়ীদের বালু রাখার জন্য ভাড়া দিয়ে ছিল। এ জায়াগা গুলোতে বিশাল বিশাল বালির স্তুপ করে রাখা হয়েছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন আহমেদ জানান ইতিপূর্বে ওই এলাকায় ১৯৬২ সালে ও নারায়ন পুর বাজার সংলগ্ন দাস পাড়ায় ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আরও একবার এ রকম নদী তীরে ভূমি দেবে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই সময় দাস পাড়ার কয়েকটি বাড়ি গাছ পালাসহ প্রায় ২ একর ভ’মি দেবে গিয়েছিল। হঠাৎ এ রকম ভূমি দেবে যাওয়ার ব্যাপাওে এলাকাবাসী আনোয়ার হোসেন ক্ষোভের সাথে জানান, শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ২০/২৫টি ড্রেজারযোগে সারা বছর নদী থেকে অবৈধ ও অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ভূমি দেবে ও ধসে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। ২০০৫ সালের ঘটনার পর তৎকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্য তানজিম আহমেদ সোহেল তাজের সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের একটি দল ওই এলাকায় বার বার ভ’মি ধসকে পাশের নদী থেকে অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলনকে দায়ী করেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সরকার দলীয় নেতারা পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এ সকল বালু উত্তোলন করে আসছে। দুর্ঘটনা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিছুর রহমান জানান, এখানে অনেক অবৈধ বালুর গদি গড়ে ওঠায় মারাত্মক পরিবেশ দুষণ হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্ধতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

(এসকেডি/এএস/জানুয়ারি ২৫, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test