E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ওরাও ভাষা শহীদদের  শ্রদ্ধা জানাবে

২০১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯ ১৮:৪১:৩৮
ওরাও ভাষা শহীদদের  শ্রদ্ধা জানাবে

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। ফলে শিক্ষার্থীরা মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ থেকে বঞ্চিত হযে আসছে। আমাদের মায়ের ভাষার জন্য এদেশের দামাল ছেলেরা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠিত করেছে। অথচ সেই সব ভাষা শহীদদের স্মরণ করার জন্য পর্যাপ্ত শহীদ স্মৃতি নির্মিত হয়নি। তবে একুশের চেতনায় উদ্ভাসিত নতুন প্রজন্মরা ঘরে বসে নেই। বৃহস্পতিবার জেলার বিভিন্ন এলাকা দেখা যায়, শিশুরা কাদা-মাটি বা ইট দিয়ে শহীদ মিনার তেরী কাজে মহাব্যস্ত। শনিবার একুশের প্রভাতে তারা ভাষা শহীদদের স্মরনে নিজেদের হাতে গড়া শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করবে। শহরের পিরোজপুর মহল্লায় তেমনি কয়েক শিশু রাপি, শিবাশীষ, উৎপল, জীবন তাদের সঙ্গীদের  নিযে কাদা-মাটি দিয়ে শহীদমিনার তৈরি করছিল। তারা বই পড়ে জেনেছে, এদিন শহীদ মিনারে ফুল দিতে হয়। কিন্তু কেন ফুল দিতে হয়, তার বিস্তারিত ইতিহাস তারা এখনো রপ্ত করতে পারেনি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় ১০৮ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২৪টি মাদ্রাসা ও ৬টি কলেজ রয়েছে। হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন শহীদ মিনার নেই। ফলে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করার সুযোগ পায়না। অনেক সময় শিক্ষার্থীরা অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ করে তাদের মনের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা প্রকাশ করার চেষ্টা করে। অথচ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বহুমুখী আয়ের খাত থাকা সত্ব্ওে শুধুমাত্র ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ না থাকায় সে রকম উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়না। কম বেশি সকল বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্যের নামে লাখ লাখ টাকা আদান প্রদান হয়ে থাকলেও কখনও মায়ের ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য একটি শহীদ মিনার নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে পারেনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির কর্তা ব্যাক্তিগণ।

এ ব্যাপারে ওই উপজেলার নির্বাহী অফিসার হোসেন আহমেদ বলেন, মায়ের ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকা জরুরী। অথচ ভাষা আন্দোলনের ৬৩ বছর পেরিয়ে গেলেও আমরা এখনও সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করতে পারিনি। আগামীতে অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে। এদিকে এলাকার অভিভাবক ও সূধীমহল প্রত্যেক সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি করে শহীদ মিনার নির্মাণ বাধ্যতামূলক করার জোর দাবি জানিয়েছেন।

(বিএম/এএস/ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test