E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

লক্ষ্মীপুরে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ ২

২০১৫ মার্চ ২১ ১৫:৫৬:২৫
লক্ষ্মীপুরে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ ২

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে যুবদল ও ছাত্রলীগের দুই নেতাকর্মীকে আটকের পর পায়ে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বালাইশপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশ বলছে, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধে তারা দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। গুলিবিদ্ধ নেতারা বশিকপুরের লাদেন মাছুম বাহিনীর সন্ত্রাসী।

গুলিবিদ্ধরা হলেন, সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামের জয়নাল আবদীন চৌধুরীর ছেলে ও ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. কিরন হোসেন (৩০) এবং চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের বসুদুহিতা গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুল ইসলাম রুবেল(২৮)।

ভুক্তভোগীদের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চন্দ্রগঞ্জ বাজারের শাহীন হোটেলে দুই সহপাঠি নিয়ে নাস্তা করছিলেন ছাত্রলীগ কর্মী রুবেল। এসময় তাকে চন্দ্রগঞ্জ থানার এএসআই দিপক আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এদিকে শুক্রবার দুপুরে যুবদল নেতা কিরনকে তার বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। পরে শুক্রবার রাতে সাড়ে নয়টার দিকে তাদের দু’জনকে বশিকপুরে পৃথকস্থানে নিয়ে পায়ে গুলি করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।

চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক মো. ইব্রাহিম জানান, রুবেল দীর্ঘদিন চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলো। সম্প্রতি তার সঙ্গে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মামুনুর রশিদ বাবলুর সঙ্গে বিরোধ দেখা দিলে সে যুবলীগের সঙ্গে চলা-ফেরা শুরু করে। বাবলুর সঙ্গে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে তাকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ আটক করে। পরে তিনি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন লিটন চন্দ্রগঞ্জ থানায় গেলে রুবেলকে জিঙ্গাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়া হবে বলে জানায় ওসি হুমায়ুন কবির। কিন্তু না ছেড়ে পরদিন শুক্রবার রাতে তার পায়ে গুলি করা হয়।

গুলিবিদ্ধ রুবেলের ভাই মাইদুল ইসলাম পাবেল জানায়, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মামুনুর রশিদ বাবলু ও পুলিশের সোর্স ফারুকের হস্তক্ষেপে তার ভাইকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চন্দ্রগঞ্জ বাজারে আটক করে পুলিশ। পরে শুক্রবার পায়ে গুলি করে বন্দুকযুদ্ধের নাটক সাজানো হয়। তার সঙ্গে লাদেন মাছুম বাহিনীর কোন সম্পৃক্ততা নেই।

গুলিবিদ্ধ কিরন ও তার পরিবারের সদস্যরা জানান, কিরনকে শুক্রবার দুপুরে আটকের পর রাতে পরিকল্পিতভাবে পায়ে গুলি করে বন্দুকযুদ্ধের নাটক সাজায় পুলিশ।

লক্ষ্মীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি-সদর) মো. জুনায়েত কাউছার তাদেরকে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, শুক্রবার লাদেন বাহিনীর অন্যতম সদস্য একাধিক মামলার আসামি কিরনকে আটক করা হয়। পরে তার তথ্য মতে রুবেল নামে ওই বাহিনীর আরেক সদস্যকে আটক করে লাদেন মাসুমের এলাকা বশিকপুরের বালাইশপুরে অভিযান চালানো হয়। এ সময় লাদেনের সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ১২ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করলে বাহিনীর সদস্য কিরন ও রুবেল গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

(এএমআর/পিবি/মার্চ ২১,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test