E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গৌরনদীর ব্যস্ত ডিজিটাল সেন্টারের সকল কার্যক্রম বন্ধ

২০১৫ মার্চ ৩১ ২০:৫৬:০৪
গৌরনদীর ব্যস্ত ডিজিটাল সেন্টারের সকল কার্যক্রম বন্ধ

আঞ্চলিক প্রতিনিধি(বরিশাল):প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে দিতে ইউপি চেয়ারম্যানের অনুরোধে প্রত্যেহ সকাল দশটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত কখনও ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারে, আবার কখনো ল্যাবটব নিয়ে প্রত্যন্ত এলাকায় ছুটে গেছেন সেন্টারের তরুন উদ্যোক্তারা।

ফলশ্রুতিতে মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে জেলার একমাত্র ডিজিটাল ইউনিয়ন হিসেবে পরিচিতি লাভ করে গৌরনদীর মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদ। সে সুবাদে ২০১৪ ও ২০১৫ সালে পর পর দু’বার জেলার শ্রেষ্ঠ ডিজিটাল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু। যে ডিজিটাল সেন্টারে সব সময় ছিলো উপচে পরা ভীড়, সেই ব্যস্ত ডিজিটাল সেন্টারটি গত ১৫দিন থেকে রয়েছে বন্ধ। দু’বারের শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান ও ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা কেউই পরিষদের অফিসে আসেন না। ফলে প্রতিনিয়ত ডিজিটাল সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন গোটা ইউনিয়নবাসী।

সূত্রমতে, ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু, ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা মোঃ হাসান সরদার ও আমিনুল ইসলাম রিপনের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা দায়েরের পর পুলিশের গ্রেফতার আতংকে তারা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যেকারনে গত ১৭ মার্চ দুপুর থেকে অদ্যবর্ধি মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারসহ পরিষদের সকল কর্মকান্ড বন্ধ রয়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক সৈকত গুহ পিকলু জানান, একটি ঠিকাদারী কাজের বিরোধকে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে (১৭ মার্চ দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে) উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র হারিছুর রহমানের নেতৃত্বে মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদে হামলা চালিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ পরিষদে ব্যাপক ভাংচুর করে ডিজিটাল সেন্টারের মূল্যবান মালামাল লুটপাট করা হয়।

পুলিশের গ্রেফতার আতংকে আত্মগোপনে থেকে মোবাইল ফোনে চেয়ারম্যান পিকলু সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য পৌর মেয়রের মদদে একইদিন বিকেলে তার সহদর সলিল গুহ পিন্টুকে র‌্যাব সদস্যরা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আটক করে অমানুষিক নির্যাতন করে। বর্তমানে সে কারাগারে রয়েছে। ওইদিন (১৭ মার্চ) রাতে ও গত ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় মেয়রের মদদে উল্টো তাকেসহ (চেয়ারম্যান পিকলুকে), ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা হাসান সরদার, আমিনুল ইসলাম রিপন ও অন্যান্যদের আসামি করে একাধিক মিথ্যে মামলা দায়ের করা হয়।

ওইসব মামলায় পুলিশের গ্রেফতার আতংকে তিনিসহ ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ফলশ্রুতিতে গত ১৫দিন থেকে ব্যহৃত হচ্ছে মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারসহ পরিষদের সকল সেবা কার্যক্রম।

মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ মাহতাব হোসেন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারসহ পরিষদে প্রতিদিন জন্মসনদ, নাগরিক সনদসহ অন্যান্য সেবা নিতে ইউনিয়নবাসী ভীড় করছেন। কিন্তু চেয়ারম্যান ও ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা একাধিক মিথ্যে মামলায় আসামি হয়ে পুলিশের গ্রেফতার আতংকে পালিয়ে বেড়ানোর কারনে ইউনিয়নবাসী গত ১৫দিন থেকে সকল প্রকার সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।


(টিবি/এসসি/মার্চ৩১,২০১

পাঠকের মতামত:

১৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test