E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

তালায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে  বিএনপি কর্মী গুলিবিদ্ধ

২০১৫ এপ্রিল ০১ ১১:৪৬:২৩
তালায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে  বিএনপি কর্মী গুলিবিদ্ধ

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক বিএনপি কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন দু’ পুলিশ সদস্য। মঙ্গলবার দিবাগত রাত দু’টোর দিকে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ইসলামকাটি বিএম কলেজ মাঠে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটার গান উদ্ধার করেছে।

জখম বিএনপি কর্মীর নাম আতিয়ার রহমান। তিনি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের লাউতাড়া গ্রামের মৃত আফছার আলীর ছেলে ও একজন কাঠ ব্যবসায়ি।
অভিযোগ তাকে গত শনিবার রাত ৯টার দিকে বাড়ি থেকে ভাত খাওয়ার সময় তুলে এনে জাতপুর ও খেশরা ক্যাম্পে আটক রাখার পর কথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে চোখ বেঁধে বাম পায়ের হাঁটুতে গুলি করা হয়েছে।

সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের তথ্য কর্মকর্তা উপপরিদর্শক কামাল হোসেন জানান, একদল ডাকাত তালা উপজেলার ইসলামকাটি বিজনেস এ- ম্যানেজমেন্ট কলেজ মাঠে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে মর্মে তালা থানার পুলিশ খবর পায় । এরই ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে মঙ্গলবার দিবাগত রাত দু’টার দিকে সেখানে উপস্থিত হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা গুলি ও বোমা ছুঁড়তে শুরু করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ১৫ মিনিট ব্যাপি বন্দুকযুদ্ধের পর আতিয়ার রহমান (৩২)নামে এক ডাকাত সদস্যকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বন্দুকযুদ্ধে তালা থানার সহকারি উপপরিদর্শক সেলিম রেজা ও সিপাহী আল আমিন জখম হলে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটার গান উদ্ধার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তালা, পাটকেলঘাটা ডুমুরিয়া ওে কশবপুর থানায় আটটি মামলা রয়েছে।

তালা উপজেলার লাউতাড়া গ্রামের মাছুরা বেগম জানান, গত শনিবার রাত ৯টার দিকে বাড়িতে ভাত খাওয়ার সময় তার স্বামী আতিয়ার রহমানকে জাতপুর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারি উপপরিদর্শক সাঈদুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। পরদিন সকালে জাতপুর ফাঁড়ি, তালা থানাসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুর একটার দিকে ভাই সোবহানকে নিয়ে খেশরা পুলিশ ফঁড়িতে গেলে কর্তব্যরত সেন্টি না থাকার সূযোগে তিনি ভিতরে ঢুকে স্বামী আতিয়ারকে দেখতে পান। কথাও বলেন তার সঙ্গে । একপর্যায়ে পুলিশ তাকে দেখতে পেয়ে হুমকি দিয়ে ঘাড় ধরে তাদেরকে ফাঁড়ি থেকে বের করে দেয়। বিষয়টি তিনি সাতক্ষীরার কয়েকজন সাংবাদিক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অবহিত করেন। পুলিশ কথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে আতিয়ার রহমানকে পায়ে বন্দুতের নল ঠেকিয়ে গুলি করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তার স্বামীকে সাত মাস আগে খুলনার ডুমুরিয়া থানার পুলিশ গোবরামকোমপুর গ্রামে একটি ডাকাতির ঘটনায় সন্দিগ্ধ আসামী হিসেবে গ্রেফতার করে। দু’ মাস পর জমিনে মুক্তি পায় সে। এর চার দিন না যেতেই ভা-ারখোলা বাজার থেকে সকাল ১১ টার দিকে কেশবপুর থানার পুলিশ একটি ডাকাতির মামলায় সন্দিগ্ধ আসামী হিসেবে তাকে গ্রেফতার করে। ১৬ দিন পর সে জামিনে মুক্তি পায়।

তবে জাতপুর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারি উপপরিদর্শক সাইদুল ইসলাম ও খেশরা পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা শহীদ ও হোসেন আতিয়ার রহমান নামের কোন ব্যক্তিকে আটক রাখার কথা অস্বীকার করেছেন।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের সার্জারী কনসালট্যান্ট ডাঃ শরিফুল ইসলাম জানান, আতিয়ার রহমানের বাম পায়ের হাঁটুতে গুলি লেগেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

(অারএনকে/এসসি/এপ্রিল০১,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test