E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আগৈলঝাড়ায় অবৈধভাবে নদী দখল করে স্থাপনা

২০১৫ এপ্রিল ০১ ১৪:২৪:৫৮
আগৈলঝাড়ায় অবৈধভাবে নদী দখল করে স্থাপনা

বরিশাল প্রতিনিধি  : বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বিভিন্ন হাট-বাজার, খাল ও সরকারি জমি দখলের পর এবার নদী দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছে এমপির আত্মীয় স্বজনসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ঠ সরকারী কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ম্যানেজ করে তারা দখল বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। প্রকাশ্য দিবালোকে বেপরোয়া দখলের মহোৎসব চললেও ওই দখলদাররা এতটাই প্রভাবশালী যে তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস নেই সাধারণ জনগনের। তাই দখলদারদের কাজে অবৈধ কাজে বাধা দেওয়ার ইচ্ছে থাকলেও বিভিন্নভাবে হয়রানীর আশংকায় চোখের সামনে মুখ বুজে সহ্য করছেন সাধারণ জনগণ।

সরেজমিন ও তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার একমাত্র নদী বন্দর পয়সারহাট সেতুর পূর্ব পাড়ে নদীর একটি অংশে পাইলিং ও ইট বালু দিয়ে ভরাটের মাধ্যমে দখলে করে ইট বালুর ব্যবসা করছেন স্থানীয় বাদশা বক্তিয়ার। দীর্ঘ দিনেও নদী খনন না করা ও পয়সারহাট নদীর উপর ব্রীজ নির্মানের ফলে নদী মরে যাওয়ায় নদীর বিভিন্ন স্থানে চর জেগে ওঠায় ওই নৌ বন্দরে ঢাকা গামী লঞ্চ চলাচলে বিঘ্নসহ বিভিন্ন খালের স্রোত কমে যাওয়ায় ইরিগেশনের সমস্যা হচ্ছে। তার উপর দখলদারদের কারনেই নদী আরও ভরাট হয়ে যাচ্ছে। একই নদীতে বাগধারা হাটে নদীর পূর্ব পাড়ে নদী দখল করে পাকা ভবন নির্মান করছেন আব্দুল এমপি তালুবদার মো.ইউনুসের বেয়াই কাদের মিয়া, মাওলা মিয়া ও ভায়রা আকবর মিয়া।
উপজেলা সদরে সম্প্রতি দু’বার ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। অনুসন্ধানে জানা গেছে বাজারের মধ্যে সরকারি জায়গা দখল করে দোকান নির্মানের ফলে গলি ছোট হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গাড়ি ঢুকিয়ে কাজ করতে না পারায় ক্ষতির পরিমান বেড়েছে। অগ্নিকান্ডের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে করে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ-এমপি, বরিশাল জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল আলম বন্দরের দোকান ও গলি নির্মানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ সংশ্লিষ্ঠদের নির্দেশনা দিলেও সেই নির্দেশকে বৃদ্বাংগুলি দেখিয়ে সরকারি জায়গা দখল করে চলছে নির্মান কাজ। অবৈধ ওই নির্মাণ কাজে সরকার দলীয় কয়েক নেতা বাধা দিলেও তা উপেক্ষা করে কাজ চলছে। উপজেলা সদর বন্দরের একমাত্র ঘাটলাটিও এখন দখলদারদের কারণে ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে গেছে। উপজেলা সদর ছাড়াও সাহেবেরহাট, গৈলার রথখোলা, ছয়গ্রাম বাজার, বাশাইল হাট, আস্কর কালীবাড়ি, দুশমীর হাট, রাজিহার বাজার, বারপাইকা করিম বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রভাবশালী দখলবাজরা একটি মহলকে ম্যানেজ করে সরকারি জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ করে রাতারাতি বিক্রি করে দিচ্ছে। দখলকৃত জায়গা দখলবাজরা তদের পৈত্রিক, ক্রয়কৃত, ডিক্রি করা ইত্যাদি ব্যাখ্যা দিলেও জায়গার প্রকৃত মালিক কে তার কোন হদিস পাওয়া যায়না।
এব্যাপারে উপজেলা সহকারী ভূমি (এসিল্যান্ড) এর অতিরিক্ত দ্বায়িত্বরত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবী চন্দ বলেন, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল বাগধায় গিয়েছিলেন। কাগজপত্র পর্যালোচনায় ওই জায়গা তাদের রেকর্ডিও। পূর্বে নদীতে ভেঙ্গেছিল, এখন চর জেগে ওঠায় তারা কাজ করছে। নদী দখল করে বালুর ব্যবসার ঘটনাস্থ সম্পর্কে তিনি অবগত নন বলে জানান।

(টিবি/পিবি/এপ্রিল ০১,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test