'দেশে এখন একটাই জঙ্গি বেগম খালেদা জিয়া'

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: বিগত সংসদীয় নির্বাচনের আগে নির্বাচনের নামে বিএনপি জামায়াত সাতক্ষীরার ছাত্রলীগ নেতা প্রভাষক এবিএম মামুন হোসেনকে হত্যা করেছে। বর্তমানে তারা প্রেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে নিরীহ মানুষকে হত্যা করছে। তাদের ডাকা হরতাল ও অবরোধে সাধারন মানুষ সাড়া দেয়নি। দেশে এখন জঙ্গি বাংলা ভাই নেই। আছে একটাই জঙ্গী বেগম খালেদা জিয়া।

যারা দশম সংসদীয় নির্বাচন নিয়ে শেখ হাসিনার সংলাপ আহবান প্রত্যাখান করেছিল তারাই এখন সংলাপ চাইছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন না হলে দেশে গণতন্ত্র থাকত না। ব্যাংকক ও থাইল্যা-ের ন্যয় বাংলাদেশে সামরিক শাসন বিরাজ করত। বেগম খালেদা জিয়া চাইলে নির্বাচন হবে, তবে ২০১৯ সালের আগে নয়।

শনিবার দুপুর একটায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল উদ্বোধন উপলক্ষে সাতক্ষীরা শহরের বাকালে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার দল জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তার পাশে গাছ কেটেছে, গাড়ি পুড়িয়েছে, মানুষ হত্যা করেছে। নির্বাচন না হলে আজকের মেডিকেল কলেজ উদ্বোধন করা সম্ভব হতো না। সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ আ.ফ.ম রুহুল হকের উন্নয়নের ধারাকে তিনি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ সরকারের সময়ে প্রতি বছর পহেলা জানুয়ারি সকল স্কুলে প্রথম শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত বিান মূলে বই দেওয়া শুরু হয়েছে। গ্রাম গঞ্জে বিদ্যুতের চাহিতা মেটাতে উদপাদন বাড়ানো হয়েছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও দারিদ্র দূরীকরণে এ সরকার অন্যান্য দেশের চেয়ে এগিয়ে আছে।

সবশেষে তিনি সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন ্য একটি বাস, একটি এম্বুলেন্স, প্রয়োজনীয় ডাক্তারের ব্যবস্থা ও যন্ত্রপাতির জন্য দু’ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা দেন।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ কাজী হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী সাংসদ ডাঃ আ.ফ.ম রুহুল হক, সাংসদ মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি,সাংসদ অ্যাড. মুস্তাফা লুৎফুল্লাহ, সাংসদ এসএম জগলুল হায়দার, সাংসদ রিফাত আমীন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সাংসদ মুনসুর আহম্মদ, সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাসচীব অধ্যাপক ডাঃ দীন মোহাম্মদ নুরুল হক, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আহম্মেদুল কবীর স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদ ও বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যসোসিয়েশনের মহাসচীব অধ্যাপক ডাঃ এম ইকবাল আর্সলান প্রমুখ। এ সময় মঞ্চে সাবেক মন্ত্রী সাম্যবাদি দলের নেতা দীলিপ বড়–য়া ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারন সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা উপস্থিত ছিলেন।

সভার আগে মন্ত্রী জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর ফিতা কেটে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।

(আরএনকে/এসসি/এপ্রিল০৪,২০১৫)