E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নড়াইলে অধিগ্রহনকৃত জমির ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধন

২০১৫ এপ্রিল ২২ ১৬:৪১:১৭
নড়াইলে অধিগ্রহনকৃত জমির ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধন

নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইলের কালনা ফেরী ঘাটে ব্রীজ নির্মানের জন্য অধিগ্রহনকৃত জমির ক্ষতিপূরনের দাবিতে গোপালগঞ্জ ও নড়াইল জেলার ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকরা মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে।  বুধবার  সকাল সাড়ে ১০ টায় নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কালনা ফেরিঘাটের পশ্চিমপাড়ে দুই জেলার শতাধিক পরিবারের ৩ শতাধিক নারী-পুরুষ ঘন্টাব্যাপি এসব কর্মসূচীতে অংশ নেন। শুধু ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারই নয় এই কর্মসূটীতে অংশ নেন নড়াইল-০২ আসনের সাংসদ এ্যাডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমান।

মানববন্ধনে অংশ নেয়া নড়াইল-০২ আসনের সাংসদ এ্যাডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমান বলেন, উদর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপিয়ে নিরন্ন মানুষের বিরুদ্ধে সড়যন্ত্র করা হচ্ছে। প্রশাসন বলতে চায় এখানকার মানুষ জমির কোন ক্ষতিপুরন পাবেনা। কারন এদের নামে কোন রেকর্ড নাই। এক সময় এখানে নদী ছিল। নদীতে চর পড়েছে। চর জাগার পর রেকর্ড প্রস্তুত করার দায়িত্ব ছিল প্রশাসনের। তারা তা না করে জনগনের ক্ষতি করেছে। আমি খুব শীঘ্র এইসব জমি মালিকদের নামে জমির ফিরিয়ে দিয়ে তাদের ন্যায্যমূল্য দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

এসময় নড়াইলের লোহাগাড়া ইউপি চেয়ারম্যান বদর খন্দোকার, মোঃ হেমায়েত হোসেন, আফরোজা আক্তার, মোঃ বেলায়েত হোসেন ও মফিজুর রহমান প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা তাদের অধিগ্রহনকৃত জমির ন্যায্যমূল্য ও পূর্নবাসনের দাবি করেন। তারা আরো বলেন,ক্ষতিপুরন না পাওয়া পর্যন্ত কালনা ঘাটে যানবাহন চলাচল বন্ধ, প্রয়োজন হলে কাফনের কাপড় গায়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্ত যাব। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
গোপালগঞ্জ ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা জিলাল হোসেন বলেন, ইতোপূর্বে কালনা ব্রীজের সম্প্রসারণ সড়কের জন্য জমি সনাক্ত, সনাক্তকৃত জমির উপর সকল ধরনের স্থাপনা নির্নয় করা হয়েছে। যেসব মালিকানা জমির উপর দিয়ে সড়ক নির্মান করা হচ্ছে তাদেও কাছে জমির বৈধ্য প্রমাণপত্র চাওয়া হয়েছে। যে যে দিতে পারবে তারা ক্ষতিপুরণ পাবে। যে জমি খাস খতিয়ানে রয়েছে সেগুলোর কোন ক্ষতিপূরণ পাবে না। যারা সরকারি জমিতে বসবাস করছে তারা যদি মালিকানা প্রমাণ করতে পারে তাহলে ক্ষতিপূরণ পাবে।

উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরে ঢাকা-বেনাপোল সড়কের গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার কালনায় মধুমতি নদীর উপর প্রায় ৩শ” কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ লেনের ব্রীজ নির্মানের প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। বিগত ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারী একনেকে এই প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বীজের ভিত্তিপ্রত্তর স্থাপন করেন। ব্রীজ নির্মানের জন্য নদীর উভয় পাড়ের সরকার ইতো মধ্যে জমি অধিগ্রহন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এতে দুই পাড়ের শতাধিক পরিবারের প্রায় দেড়শ একর জমি সড়কের জন্য ব্যবহৃত হবে। জমির মূল্য বাবদ ক্ষতিপূরনের কোন অর্থ পাবেনা বলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ জমির ভোগদখল করীদেও জানিয়েছেন। কেননা ঐ জমির আরএস ও সিএস প্রকৃত মালিকদের হলেও বিএস-এ এসব সম্পত্তি সরকারি হিসাবে দেখানো হয়েছে।

(টিএআর/পিবি/ এপ্রিল ২২,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test