E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

২ সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের অনুমতি পেল পুলিশ

২০১৪ মে ১৬ ০৯:৫৮:২৯
২ সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের অনুমতি পেল পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে অপহরণ ও খুনের ঘটনায় চাকরি হারানো দুই সেনাসদস্য র‌্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মাদ ও মেজর আরিফ হোসেকে ফৌজদারি আইনে গ্রেপ্তারের অনুমতি দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের সাবেক প্রধান লে. কমান্ডার এম এম রানার বিষয়ে এখনো কোনো চিঠি পায়নি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ ওঠার পর এই তিন কর্মকর্তাকে অবসর দেওয়া হয়৷ ৬ মে সেনাবাহিনীর দুজনকে অকালীন ও নৌবাহিনীর একজনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। ১১ মে এই তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট৷
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখায় গিয়ে ওই চিঠি দিয়ে যান। চিঠি পাওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে চিঠি পাঠানো হয়।
এর আগে হাইকোর্ট ওই তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়ার পর ১২ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মতামত চেয়ে প্রতিরক্ষাসচিবকে চিঠি পাঠায়। বৃহস্পতিবার সেনা সদরের জিএজি বিভাগ থেকে ওই চিঠির জবাব দেওয়া হয়৷ এতে বলা হয়, ‘আপনাদের সদয় অবগতির জন্য উল্লেখ করা যাচ্ছে যে হাইকোর্টের নির্দেশনার আলোকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদ্বয় সর্ম্পকে দেশের প্রচলিত ফৌজদারি আইন অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে।’
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠির ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘মনে হয় চিঠি এসেছে৷ কিন্তু এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমরা তাঁদের কাছে আদালতের নির্দেশ পাঠিয়েছিলাম।’
পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিজেরা আত্মসমর্পণ করতে পারবেন অথবা আদালতে যাবেন। তাঁরা যদি আত্মসর্মপণ করতে চান, তাহলে এখন আমরা আইজিকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেব।’
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যদি তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমতি দিয়ে থাকে, তার অর্থ হচ্ছে আমরা আমাদের ফৌজদারি কর্মকাণ্ড চালাতে পারব৷ সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ হচ্ছে, আইজি গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসবেন। কিংবা আদালতে গিয়েও তাঁরা আত্মসমর্পণ করতে পারেন।’
গত ২৭ এপ্রিল দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। এর তিনদিন পর ৩০ এপ্রিল ছয়জনের এবং পরদিন আরও একজনের লাশ শীতলক্ষ্যায় ভেসে ওঠে৷ ৪ মে নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদ চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, ছয় কোটি টাকার বিনিময়ে র্যাবের তিন কর্মকর্তা ওই সাতজনকে অপহরণ ও খুন করেছেন।

(ওএস/এইচআর/মে ১৬, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test