E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

যশোরে দু’যুবককে নিহতের ঘটনায় পুলিশের সম্পৃক্ততার অভিযোগ

২০১৫ মে ২৭ ১৭:১১:৩৭
যশোরে দু’যুবককে নিহতের ঘটনায় পুলিশের সম্পৃক্ততার অভিযোগ

যশোর প্রতিনিধি : রবিবার রাতে যশোরে দু’ যুবককে গণপিটুনি দিয়ে নিহতের ঘটনায় পুলিশের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার যশোর প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ তোলা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত ইসমাইল শেখের মামা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পাঠাগার সম্পাদক দেলোয়ার রহমান দীপু।

তিনি বলেন পুলিশ টাকার বিনিময়ে পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র ইসমাইল ও ওয়েল্ডিং ব্যবসায়ী আল-আমিনকে হত্যা করেছে। রবিবার রাতে যশোর-মাগুরা সড়কের হুদোর মোড় এলাকায় যশোর পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র ইসমাইল ও ওয়েল্ডিং ব্যবসায়ী আল-আমিনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওইদিন পুলিশ দাবি করেছিল, বরুণ তরফদার নামে একজনের মোটরসাইকেল ছিনতাই করতে গেলে স্থানীয় লোকজনের গণপিটুনীতে ওই দুই যুবক নিহত হন। তবে ইসমাইল শেখের মামা দেলোয়ার রহমান দীপু সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনাটি পুরোপুরি সাজানো। এ ব্যাপারে স্থানীয় লোকজন কিছুই জানে না। নিহত ইসমাইল পলিটেকনিক কলেজের কম্পিউটার বিভাগের ৫ম পর্বের ছাত্র। দীপু বলেন, যার মোটরসাইকেল ছিনতাই করা হচ্ছিল বলে পুলিশ দাবি করছে, সেই বরুণ তরফদারের এক আত্মীয়র সাথে নিহত ইসমাইল অথবা আল-আমিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তারা জানতে পেরেছেন। তাদের দুজনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে টাকার বিনিময়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাদের শরীরে গণপিটুনী চিহ্ন নেই। গলার ওপরের অংশে ধারালো অস্ত্রে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন। আর এই পুলিশের কারণে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। ছাত্রলীগ নেতা দীপু এ হত্যাকান্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করে করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে নিহত ইসমাইলের পিতা বেলাল শেখ, মা রেহানা বেলাল, বড় মামা মঞ্জুরুল আলম, নিহত আল-আমিনের বড় ভাই রবিউল ইসলাম, চাচা ইনসার আলীসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। (জেডএইচ/পিবি/মে ২৭,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test