E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কালকিনিতে ২ গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০

২০১৫ মে ৩০ ১৬:২৮:১৭
কালকিনিতে ২ গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০

মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের বিদ্যাবাগিস বাজারে শনিবার সকালে ফেষ্টুন ছিড়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয়, আহত ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কালকিনির লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে ঐ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক বেপারী সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
অপরদিকে ২ মাস আগে তার প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি নেতা গেন্দু কাজী আওয়ামী লীগে যোগদান করে। যোগদানের পরেই এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পুরনো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সমর্থকদের সাথে নতুন আওয়ামী লীগের নেতা, কর্মী সমর্থকদের মধ্যে হামলা, সংর্ঘষ ও মামলা-পাল্টা মামলার ঘটনাসহ উত্তেজনা লেগেই থাকে।
ঘটনার আগের দিন শুক্রবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে নব্য আওয়ামী লীগের কর্মীদের প্রধান্য দেয়ার অভিযোগে সম্মেলনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকেন ফজলুল হক ও তার লোকজন।
এই ঘটনার সূত্র ধরেই বিদ্যাবাগিস বাজারে নব্য আওয়ামী লীগ নেতা গেন্দু কাজীর ফেষ্টুন ছিড়ে ফেলে ফজলুল হক বেপারীর লোকজন। এনিয়ে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এসময় উভয় গ্রুপ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সংর্ঘষ করে। এতে উভয় গ্রুপের প্রায় ১০ জন আহত হয়। আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।
এ ব্যাপারে অভিযোগ করে ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক বেপারী বলেন, লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে আমার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সুসংঘটিতভাবে পরিচালিত হয়ে আসছিল। কিন্তু বিএনপি নেতা গেন্দু কাজী নাম মাত্র আওয়ামী লীগে যোগদান করেছে। তাছাড়া গেন্দু কাজীর ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কাজী মুরাদকে নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে এবং মামলা দিয়েও হয়রানি করছে। নিজেকে আওয়ামী লীগ পরিচয় আর ছেলেকে ছাত্রদল পরিচয় দিয়ে তারা মূল আওয়ামী লীগারদের ওপরই নির্যাতন চালাচ্ছে। এলাকায় এখন ছাত্রদল আর নব্য আওয়ামী লীগের দাপটে মূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।’
গেন্দু কাজিকে ফোনে পাওয়া না গেলেও তার ছেলে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কাজী মুরাদ বলেন, এখন লক্ষ্মীপুরে আমার বাবা মূল আওয়ামী লীগ। আর আমি এখন ছাত্রদল করিনা।
তবে ছাত্রদল থেকে পদত্যাগ করেছে কিনা এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কাজী মুরাদ এড়িয়ে যায়।
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, এলাকায় উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন আছে।
(এএ/পিবি/মে ৩০,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test