E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নওগাঁর মান্দায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

২০১৫ জুন ০৩ ১৪:৪৮:১১
নওগাঁর মান্দায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

নওগাঁ প্রতিনিধি : ডাকের টাকা জমা দেয়া হয়েছে। ভ্যাট ও আয়কর এখানো পরিশোধ করা হয়নি। এ কারণে বুঝে পাননি সরকারি দখল। এরপরও প্রায় দ্ইু মাস ধরে আত্রাই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন কামাল হোসেন নামে এক ঠিকাদার।

ইতোমধ্যে এ সময়ে তিনি ৫টি মৌজায় ২৫টি ড্রেজার ব্যবহার করে ২০ লক্ষাধিক টাকার বালু উত্তোলন করে বিক্রি করেছেন। এভাবে দখল বুঝে না নিয়ে অন্তত ৬ মাস অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কৌশল নিয়েছেন ঠিকাদার কামাল হোসেন। ইতোমধ্যে ২ মাস সফলও হয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে আর ৪ মাস এভাবে বালু উত্তোলন করতে পারলে অন্তত ১ কোটি ২০ লাখ টাকা অবৈধভাবে হাতিয়ে নেবেন তিনি। এতে সরকার কমপক্ষে ৭০ লাখ টাকার রাজস্ব হারাবে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলার কালিকাপুর বাজার রক্ষা মেট্রোসিং এর মাত্র ৫ গজ দুরে দুটি ড্রেজার স্থাপন করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন তিনি। এতে কালিকাপুর বাজারসহ অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি, মসজিদ, মন্দিরসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলিন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ এলাকায় ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসক, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, কামাল হোসেন, সবুজ মৃধা ও জাহাঙ্গীর হোসেনসহ কয়েক ব্যক্তি ইজারার নামে আত্রাই নদীর কালিকাপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় ৩টি ড্রেজার স্থাপন করে পহেলা বৈশাখ থেকে বালু উত্তোলন ও ক্যাশমেমোর মাধ্যমে বিক্রি করে আসছেন। এভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত রাখলে বাজার রক্ষা বাঁধের মেট্রোসিং এ ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে। এতে কালিকাপুর বাজারসহ আশপাশের অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলিন হবে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, মান্দা উপজেলার আত্রাই নদীর ফেরিঘাট ব্রীজের উজানের বালুমহাল বাংলা ১৪২২ সনের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়। দোসতিনা, কালিকাপুর, আয়াপুর, লক্ষ্মীরামপুর ও মদনচক মৌজার বালুমহালটি মহাদেবপুর উপজেলার চকগৌরী গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে কামাল হোসেন ১ কোটি ১৮ লাখ টাকায় ডেকে নেন। ভ্যাট ও আয়করসহ যার পরিমান দাঁড়ায় ১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।

ডাকের টাকা জমা দিলেও ভ্যাট ও আয়করের ২৬ লাখ টাকা এখনো তিনি পরিশোধ করেন নি। এজন্য বালুমহালটি তাকে সরকারিভাবে বুঝেও দেয়া হয়নি। জেলা প্রশাসক প্রদত্ত টেন্ডার বিজ্ঞপ্তির ১০ নম্বর শর্তে উল্লেখ রয়েছে, ডাক অনুমোদনের এক সপ্তাহের মধ্যে সমুদয় টাকা জমা দিয়ে দখল বুঝে নিতে হবে। অন্যথায় বালু উত্তোলন ও ড্রেজিং সম্পূর্ণ অবৈধ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। দরপত্রের শর্ত উপেক্ষা করে দখল বুঝে না নিয়েই প্রায় দুই মাস ধরে তিনি অবৈধভাবে এসব মৌজা থেকে বালু উত্তোলন করছেন। এসব বিষয়ে জানতে ঠিকাদার কামাল হোসেনের মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

নওগাঁর রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) এডব্লিউএম রায়হান সাংবাদিকদের জানান, ভ্যাট ও আয়করের টাকা পরিশোধ না করায় ঠিকাদার কামালক হোসেনকে বালুমহাল বুঝে দেয়া হয়নি। দখল বুঝে না নিয়ে বালু উত্তোলন করে থাকলে তা অবৈধ বলে জানান তিনি।


(বিএম/এসসি/জুন ০৩,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test