E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রাণীনগরে অর্ধ-শতাধিক খাসপুকুর প্রভাবশালীদের দখলে!

২০১৫ জুন ১৩ ১৬:৪৮:১৭
রাণীনগরে অর্ধ-শতাধিক খাসপুকুর প্রভাবশালীদের দখলে!

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগরে প্রভাবশালী ভুমিদস্যুরা প্রায় অর্ধশতাধিক খাসপুকুর কৌশলে দখল করার পাঁয়তারায় মেতে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রায় শত বছর পরে কবিগুরু রবীন্দ্র পরিবার থেকে দাদার নামে পত্তন নেয়ার নামকাওয়াস্তে দলিল দেখিয়ে মামলা দায়ের করে উপজেলা জলমহাল কমিটির ইজারার ওপরে আদালতের স্থগিতাদেশ এনে নিজেদেরকে খাসপুকুরের মালিকানার দাবি করছে । এতে সরকার প্রতি বছর প্রায় কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ।

উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলায় ছোট-বড় মোট ৪৮০ টি খাসপুকুর রয়েছে, যা উপজেলা জলমহাল কমিটি ধারাবাহিকভাবে টেন্ডার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ইজারা প্রদান করে আসছে। প্রায় শত বছর পূর্বে পতিসর রবীন্দ্র কাচারীবাড়ি থেকে দাদা ও বাবার নামে বড় আয়তনের পুকুরগুলো পত্তন নেয়া আছে, মর্মে নামকাওয়াস্তে দলিল বের করা হয়েছে। সেই দলিলমুলে পুকুরের মালিক দাবি করে আদালতে মামলা দিয়ে আদালতের স্থগিতাদেশ এনে খাসপুকুর দখলে নিচ্ছে কতিপয় প্রভাবশালী মহল। পতিসর কাচারীবাড়ি থেকে কথিত পত্তনের তালিকায় রয়েছে উপজেলার কালিগ্রাম, মরুপাড়া, সিলমাদার, হাসানকুঁড়িসহ চারটি মৌজায় অবস্থিত উপজেলার সবচেয়ে আলোচিত ও আবাদপুকুর দীঘি যার আয়তন ১৯.৫৮একর, বনপুকুর মৌজার বনপুকুর ৬.৬২ একর, রাজাপুর মৌজার ৯৫৮ দাগে ২ একর, ৫৯৬ দাগে ১.৩০ একর, কালীগাঁও মৌজার ৪৩১০ দাগে ১.৬৪ একর, ২২৯৫ দাগে ৪০ শতাংশ, ২৮৮৬ দাগে ৭৪ শতাংশ, রাতোয়াল ও রাখালগাছী মৌজার ৫২২ দাগে ১.৭৯ একর, ৩০ দাগে ৮৯ শতাংশ, ১১২ দাগে ৭৯ শতাংশ, ৫১৪ দাগে ১.৫৮ একর, ১৪০ দাগে ১.১৯ একর , ১৬৮ দাগে ১.৭৩ একর, ২২০ দাগে (সাবেক) ২.৯০ একর, ২৪৪৪ দাগে ১.৬৪ একর, এভাবেই উপজেলার ভাটকৈ, উপজেলার দ্বিতীয় আয়তনের নলদিঘী ও খট্টেশ্বর মৌজায় প্রায় অর্ধশতাধিক পুকুরের ওপরে কোনটায় স্থগিতাদেশ কোনটায় আদালতে মামলা প্রক্রিয়াধিন আছে বলে জানা গেছে । উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রবীন ব্যক্তিরা জানান, আমরা দীর্ঘদিন যাবত দেখে আসছি এই খাস পুকুরগুলো সরকারি ভাবে ইজারা দেয়া হত। গত কয়েক বছর যাবত এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা পাকিস্তানী সময়ের পুরাতন কিছু ষ্টাম্পের মাধ্যমে আদালতে মামলা করে নিজেদেরকে মালিক বলে দাবি করে আসছে । কিন্তু তাদের পরিবারের উত্তরসুরীরা কখনও এই সব পুকুরের মালিক দাবি করেছে এমন কোন নির্ভরযোগ্য তথ্য আমাদের জানা নেই।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত সহকারি কমিশনার ( ভূমি) মনিরুল ইসলাম পাটওয়ারী জানান, সরকারি সম্পদ রক্ষার জন্য সকল প্রকার আইনী প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা হয়েছে ।
(বিএম/পিবি/জুন ১৩,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test