স্ত্রীর পিঠে লোহার রড গরম করে ছ্যাঁকা দিল পাষান্ড স্বামী!

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর পোরশা উপজেলার দুয়ারপাল গ্রামে শাপলা খাতুন (১৯) নামে এক গৃহবধুকে যৌতুকের দাবিতে আমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, লোহার রড গরম করে পিঠে ছ্যাঁকা দিয়েছে তার পাষন্ড স্বামী কোবেল (২৭)।

সোমবার দিবাগত রাতে এই নির্মম ঘটনাটি ঘটানো হয়। নির্যাতনের শিকার গৃহবধু বর্তমানে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের ৭ নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গৃহবধু শাপলা খাতুন সাপাহার উপজেলার কলমুডাঙ্গা বলদিয়াঘাট গ্রামের একরামুল হকের কন্যা বলে জানা গেছে।

হাসপাতাল বেডে ভর্তি গৃহবধু শাপলা অসহ্য যন্ত্রণায় এখন ছটফট করছেন। তিনি কাতরাতে কাতরাতে জানান, গত ১ মাস পূর্বে পোরশা উপজেলার দুয়ারপাল গ্রামের কাইয়ুম উদ্দিনের পুত্র কোবেল উদ্দিনের(২৭) সঙ্গে পারিবারিক ভাবে তার বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক দিন পর থেকেই যৌতুক লোভী স্বামী ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে নববধু শাপলাকে শারিরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করে।

ঘটনার দিন সোমবার দিনগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১২ টার দিকে স্বামী কোবেল আবারো ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী শাপলাকে চাপ প্রয়োগ করে। এসময় শাপলার বাবার পক্ষে এত টাকা দেয়া সম্ভব নয়, বলে সাফ জানিয়ে দিলে ওই রাতেই শয়নঘরে নেমে আসে তার ওপর অকথ্য নির্যাতন। হাত-পা বেঁধে গৃহবধু শাপলাকে অমানুষিক নির্যাতনের এক পর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

পাষন্ড স্বামী কোবেল এসময় লোহার রড গরম করে এনে তার পিঠে ছ্যাঁকা দেয়। অসহ্য যন্ত্রনায় গৃহবধু শাপলা ছটফট করতে থাকলে তার ওপর নির্যাতনের মাত্রা আরোও বেড়ে যায়। স্বামী কোবেল তাকে লাথি গুড়ি মেরে বিছানায় একেবারে অসুস্থ করে ফেলে।

পরদিন মঙ্গলবার সকালে ওই গৃহবধু সুযোগ বুঝে জীবন বাঁচানোর তাগিদে কৌশলে স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে সাপাহার উপজেলার বেলডাঙ্গা গ্রামে তার নানার বাড়িতে এসে আশ্রয় নেয়। সেখানে তিনি গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়েন। সংবাদ পেয়ে তার পিতার বাড়ির লোকজন তড়িঘড়ি করে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেয়।

(বিএম/এএস/জুন ১৬, ২০১৫)