E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

এ কেমন বর্বরতা !

২০১৫ জুলাই ১৪ ২১:৫৫:৩৭
এ কেমন বর্বরতা !

পাবনা প্রতিনিধি : পাবনা শহরের খেয়াঘাটপাড়া এলাকায় এক গৃহকর্মীকে বটি ও লাঠি দিয়ে অমানবিক নির্যাতন করায় গৃহকর্তীকে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃত কামরুন্নাহার মৌসুমী (২৬) পাবনা সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইমাম হোসেনের স্ত্রী।

নির্যাতনের শিকার গৃহকর্মী তাসলিমা খাতুন (২২) গাজীপুর জেলার শ্রীপুরের হরতকিরটেক গ্রামের দুলাল হোসেনের মেয়ে। নির্যাতনের শিকার গৃহকর্মী তাসলিমা খাতুনকে মুমূর্ষু অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় মহিলা পরিষদ পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদিকা বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মঙ্গলবার সকালে আটককৃত গৃহকর্তী কামরুন্নাহার মৌসুমীকে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, পাবনা শহরের খেয়াঘাটপাড়া এলাকার সুব্রত চক্রবর্তীর বাড়িতে ভাড়া থাকেন সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইমাম হোসেন। প্রায় ২ মাস আগে গাজীপুর জেলার শ্রীপুরের হরতকিরটেক গ্রামের দুলাল হোসেনের মেয়ে তাসলিমা খাতুন (২২) কে তার ভাড়া বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতে নিয়ে আসা হয়।

তাসলিমা খাতুন জানান, মৌসুমী ম্যাডাম প্রায়ই তার উপর নানাভাবে নির্যাতন চালাতেন। কখনও বটি দিয়ে কোপাতেন, কখনও লাঠি দিয়ে মারপিট করতেন। দিনের পর দিন এমন নির্যাতনে পাগলপ্রায় তাসলিমা গত ১১ জুলাই সকালে বাড়ির আবর্জনা ফেলতে গিয়ে ভয়ে আর বাড়ি ফেরেনি।

সোমবার রাতে আহত তাসলিমাকে রাস্তায় অভুক্ত অবস্থায় কাতরাতে দেখে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গৃহকর্তার বাসায় পৌঁছে দিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ভাড়াটিয়ার বাসা থেকে নির্যাতনের শিকার তাসলিমাকে উদ্ধার এবং নির্যাতনকারী মৌসুমীকে আটক করে।

মৌসুমী ও তার স্বামী ইমাম নির্যাতনের কথা অস্বীকার করে বলেন, তাসলিমার শরীরে কাটা দাগ আগে থেকেই ছিল। আমরা মাঝে মধ্যে তার ক্ষতস্থান ড্রেসিং করে দিতাম।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসানুল হক জানান, সোমবার রাতে এলাকাবাসীর দেয়া সংবাদের ভিত্তিতে আমরা আহত গৃহকর্মী তাসলিমাকে উদ্ধার করি এবং স্বামী-স্ত্রীকে আটক করি। তবে রাতেই মহিলা পরিষদ পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদিকা কামরুন্নাহার জলি বাদী হয়ে গৃহকর্তী কামরুন্নাহার মৌসুমকে আসামী করে মামলা দায়ের করায় তার স্বামী সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইমাম হোসেনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

(পিএস/পিএস/জুলাই ১৪, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test