E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শরণখোলায় দুর্নীতির অভিযোগে চার শিক্ষক বরখাস্ত

২০১৫ আগস্ট ০২ ১৯:৫৯:৫৬
শরণখোলায় দুর্নীতির অভিযোগে চার শিক্ষক বরখাস্ত

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের শরণখোলায় অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই প্রধান শিক্ষকসহ চার শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। খুলনা বিভাগের (বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা) উপ-পরিচালক একেএম গোলাম মোস্তফা স্বাক্ষরিত শিক্ষকের বরখাস্তের চিঠি রবিবার শরণখোলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পৌঁছে।

শণরখোলার বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকরা হলেন পূর্বখাদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর হোসেন, দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন হাওলাদার, মধ্য রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক) মো. নাসির উদ্দিন মুক্তা ও পশ্চিম কদমতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মশিউর রহমান মোল্লা।

বরখাস্তের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জনৈক শাহ আলম বাদি হয়ে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর অভিযুক্ত ওই চার শিক্ষকরে বিরুদ্ধে দুর্নীতি, বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত, শ্রেণিপাঠদান না করা, অবৈধভাবে শিক্ষকদের সার্ভিস বহি দখলে রাখা ও আনন্দ স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহন সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করেন। ইউএনও ওই অভিযোগ তদন্ত পূর্বক বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মাধ্যমে মহাপরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবরে একটি প্রতিবেদন প্রেরণ করেন। ওই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা অধিদপ্তর সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধি ১৯৮৫ এর ৩(বি) ও ৩(ডি) ধারা মোতাবেক অসদাচরণ ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করে একই আইনের ১১(১) বিধি মোতাবেক তাদেরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, তাদেরকে এই সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে নিয়মিত কর্মস্থলে অবস্থান করতে হবে এবং কর্তৃপক্ষের অনুমোতি ব্যতীত তারা অন্যত্র যেতে পারবেন না। বরখাস্তকালীন তারা বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুশতাক আহমেদ জানান, ২৯ জুন ওই শিক্ষকদের বিরেিদ্ধ ব্যবস্থা গ্রহনের আদেশ জারি হয় এবং ৩০ জুন তা কর্যকর করে বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা কর্যালয়। প্রধান শিক্ষক দুজনের বরখাস্তের চিঠি পাওয়া গেছে। সহকারী দুই শিক্ষকের চিঠি জেলা শিক্ষা অফিসে পৌঁছেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ অতুল মন্ডল জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর তা তদন্ত করে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনেকর জন্য একটি প্রতিবেদন মহাপরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবরে পাঠানোয় হয়েছিল। সেই মোতাবেক ব্যবস্থা হয়েছে। পরবর্তীতে অন্য কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমান পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও এমন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(একে/অ/আগস্ট ০২, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test