E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাগেরহাটে শিক্ষকের হাতে শিক্ষা কর্মকর্তা লাঞ্ছিতের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল

২০১৫ আগস্ট ০৬ ১৬:৫৯:২৭
বাগেরহাটে শিক্ষকের হাতে শিক্ষা কর্মকর্তা লাঞ্ছিতের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল

বাগেরহাট ও মোড়েলগঞ্জ প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা সিএস পাঠামারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক হোসেন উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মামুন অর রশিদকে লাঞ্চিত করার অভিযোগে গঠিত ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি শিক্ষককে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

অপরাধী শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করে বৃহস্পতিবার দুপুরে মোরেলগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহর কাছে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনে উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মামুন অর রশিদকে লাঞ্চিত করার ঘটনা সত্যতা উল্লেখ করে ওই বিদ্যালয়ের নানা অনিময় ও দুর্নীতির বিষয়ে শিক্ষক ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী করা হয়।
বুধবার তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহবায়ক মোরেলগঞ্জ উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার বশিরুল ইসলাম ও দুই সদস্য নজরুল ইসলাম এবং মোস্তাইন বিল্লাহ সরেজমিনে স্কুলে যান। এসময় শিক্ষা কর্মকর্তাকে লাঞ্চিত ঘটনাটি অনাঙ্কাখিত বলে প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক দাবী করেন। তখন ওই বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকবৃন্দ তদন্ত কমিটির কাছে ক্ষমা চান।

মোরেলগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। ওই প্রতিবেদনের আলোকে অপরাধী শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত ভাবে জানানো হবে।

সোমবার ২য় সাময়িক পরীক্ষার ২য় দিনে উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার সকাল সোয়া ৯টায় পরীক্ষা পরিদর্শনে অত্র বিদ্যালয়ে যান। এসময়ে বিদ্যালয়ের অফিস সহ সকল ক্লাশ রুম তালাবদ্ধ পান। উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীরা তখন একে অপরের সাথে হাতাহাতিতে লিপ্ত ছিল। তিনি তখন ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে শিক্ষক অনুপস্থিতির বিষয় জানাতে চাইলে তারা আসেনি বলে জানায়। এসময় ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের কাছে রক্ষিত চাবি দিয়ে অফিস কক্ষ খুলে দেন। সহকারি শিক্ষা অফিসার মামুন অর রশিদ সকাল ১০ টা পর্যšত অপেক্ষা করার পরও প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্যরা শিক্ষক-শিক্ষিকরা তখনও আসেনি। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষক এটিও’র আসার খবর জানতে পেয়ে তড়িঘড়ি করে সোয়া ১০ টায় ও অন্যান্য শিক্ষকরা সাড়ে ১০ টার পরে উপস্থিত হন। নেহালখালী ক্লাষ্টারের দায়িত্বে নিয়োজিত উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার মামুন অর রশিদ উপস্থিতির খাতায় প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুককে বিলম্বে উপস্থিতি ও অপর সহকারী শিক্ষিকা স্ত্রী রুমা আকার, নুপুর আকতার এবং মোস্তফা কামালকে অনুপস্থিত লেখেন। এতে প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং তার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়।



(বিএম/এসসি/আগষ্ট০৬,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test