E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ

২০১৫ আগস্ট ১৩ ১৩:৪৩:৪১
চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ফরিদপুর প্রতিনিধি :প্রখ্যাত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার। এ উপলক্ষে তার জন্ম স্থান ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নুরপুর গ্রামে সারাদিন ব্যাপী নেওয়া হয়েছে ব্যাপক কর্মসূচী। এ উপলক্ষে দিনব্যাপী আয়োজন করা হয়েছে স্মরণসভা, দোয়ামাহফিল, কাঙ্গালীভোজ ও মরহুমের সমাধিতে পুস্পমাল্য অর্পণ।

স্থানীয় বিভিন্ন সংস্কৃতিক সংগঠনসহ তার স্বরণ সভায় ঢাকা থেকে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বগণ যোগদান করবেন।

দেশবরেন্য কান চলচ্চিত্র জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ‘‘মাটির ময়না” খ্যাত নির্মাতা তারেক মাসুদ ২০১১সালের ১৩ই আগষ্ট মানিকগঞ্জের ঘিওরের বানিয়া চুরি এলাকায় এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যান। ‘কাগজের ফুল’ নামক চলচ্চিত্রের লোকেশন থেকে মাইক্রোবাস যোগে তারা ঢাকায় ফিরছিলেন। বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বেপরোয়া বাসের সাথে তাদের মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় তারেক মাসুদ সহ তার সহধর্মীনি প্রযোজক ক্যাথরিন মাসুদসহ ৯জনের মধ্যে ঘটনাস্থলে নিহত হন তারেক মাসুদ, মিশুক মনির, প্রডাকশন ম্যানেজার ওয়াসিম, সেট নির্মাতা জামাল উদ্দীন, ড্রাইভার মুস্তাফিজ।

বিখ্যাত এই চলচ্চিত্র নির্মাতা ১৯৬৫ সালের ৬ই ডিসেম্বর ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নুরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। প্রথম জীবনে মাদ্রাসায় লেখাপড়া করলেও তিনি পরে উচ্চতর ডিগ্রি গ্রহণ করেন। এক পর্যায়ে তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণে জড়িয়ে পড়েন। মাদ্রাসায় লেখাপড়া করার সুবাদে ধর্মীয় গোড়ামী, কুসংস্কার মৌলবাদ তার চোখে ধরা পড়ে। ক্ষণজন্মা মেধাবী এই নির্মাতার মৃত্যুতে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এক বিরাট শুন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। হাতে গোনা যে কয়েকজন চলচ্চিত্রকার বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিত করে তুলে ধরেছেন তারেক মাসুদ তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন।

ভাঙ্গা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা নটরডেম কলেজে পড়াশুনা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালেই তিনি চলচ্চিত্র বিষয়ক দেশী বিদেশী নানা কর্মশালা আর কোর্সে অংশ নেন। ১৯৮৯ সালে তারেক মাসুদ প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানকে নিয়ে আমদসুরত নামে একটি ডকুমেন্টারী নির্মাণ করেন যা খুবই জনপ্রিয়তা পায় সে সময়। পরে ক্যাথরিন মাসুদকে নিয়ে আরও কয়েকটি ডকুমেন্টারী নির্মাণ করেন।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নির্মাণ করেন ‘মুক্তির গান’। ২০০২সালে ‘মাটির ময়না’ কান চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কারে ভূষিত হওয়ায় অন্তজাতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রশংসিত এবং তাকে নিয়ে যায় খ্যাতির শীর্ষে। এর পর তিনি অসংখ্যা সৃষ্টিশীল ছায়াছবি নির্মান করেন। চলচ্চিত্রকে নেহাতই সস্তা বিনোদন হিসেবে গ্রহণ না করে একটি স্বতন্ত্র ধারা বা দর্পণ নির্মাণ করেছেন। যাতে ছিল অসঙ্গতি, মুক্তিযুদ্ধ, অসম্প্রদায়িক চেতনা অংশ।

(ওএস/এসসি/আগষ্ট১৩,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test