E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সুন্দরবনে অভয়াশ্রম থেকে মাছ আহরণ করছে প্রভাবশালীরা

২০১৫ আগস্ট ১৩ ১৪:২৯:৫৫
সুন্দরবনে অভয়াশ্রম থেকে মাছ আহরণ করছে প্রভাবশালীরা

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের অভয়াশ্রম (সংরক্ষিত এলাকার) অভ্যন্তরে মাছ আহরন নিষিদ্ধ হলেও বন বিভাগের এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে মৎস ভান্ডার লুটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে।

সুন্দরবন থেকে জানা গেছে, চলতি ইলিশ আহরণ মৌসুমে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের আওতাধীন সুপতি, কচিখালী ও কটকা অভায়শ্রম এলাকার প্রভাবশালীরা বন ফাঁড়ির কর্মকর্তাদের সাথে চুক্তি করে সংরক্ষিত এলাকায় মাছ আহরণ করছে।

অভিযোগ রয়েছে বন ফাঁড়ির কর্মকর্তারা সাতদিন পর পর প্রতি গোনের জন্য ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা ও তিন মাসের জন্য নৌকা প্রতি ৮০হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত অনৈতিক সুবিধা নিয়ে অভায়শ্রম এলাকা প্রভাবশালীদের মাচ আহরণের সুযোগ করে দিচ্ছে। ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ছাড়াও মৌসুম ভিত্তিক এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বন সন্নিহিত লোকালয়ের প্রভাবশালীরা মাছের প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত অভায়শ্রম থেকে লুটে নিচ্ছে মৎস সম্পদ।

সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলা উপজেলার উত্তর রাজাপুর, সোনাতলা, তাফালবাড়ী, গাবতলা ও রসুলপুর এলাকার জেলেরা জানান, চলতি ইলিশ আহরণ মৌসুমে নদ-নদীসহ উপকুলীয় এলাকায় তেমন মাছ পাওয়া যাচ্ছেনা। ইলিশ আহরনের জন্য গভীর সমুদ্রে যেতে হচ্ছে। সেখানে বনদস্যু আতঙ্ক থাকায় প্রভাবশালীরা সুন্দরবনের অভায়শ্রম এলাকার বনকর্তাদের সাথে চুক্তি করে মাছ ধরা অব্যাহত রেখেছে। এভাবে প্রভাবশালীরা বনকর্তাদের সাথে সাত দিন পরপর প্রতি গোনসহ মাস ও বছর চুক্তিতে অবৈধ উপায়ে মাছ আহরন করছে। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে সুন্দরবনের মৎস্য সম্পদ।

সুন্দরবন সুরক্ষা কমিটির সদস্য মো. ফরিদ খান জানান, এখন সুন্দরবনের উপর প্রভাবশালীদের কুদৃষ্টি পড়েছে। তারা সুন্দরবন ধ্বংশের খেলায় মেতে উঠেছে। শীঘ্রই এদের লাগাম টেনে ধরতে না পারলে সুন্দরবনের মৎস্য সম্পদে চরম সংকট দেখা দিবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) মোঃ কামাল আহম্মেদ জানান, সুন্দরবনে মৎস্য সম্পদ বাড়াতে ২০০০ সালে বাগেরহাটের শরণখোলা রেঞ্জের সুন্দরবন পূর্ব অভয়ারণ্যের তিনটি ষ্টেশনের আওতাধীন খালগুলোতে সকল ধরনের মাছ আহরন বন্ধ ও ওই এলাকায় জনসাধারণের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সুন্দরবন বিভাগ। বনের সংরক্ষিত এই এলাকায় টাকার বিনিময় মাছ ধরতে সুযোগ করে দেয়ার বিষয়টি তিনি অবগত নন। তবে সুন্দরবনের কোন কর্মকর্তা ও কর্মী জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান এসিএফ কামাল।

(একে/এএস/আগস্ট ১৩, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test