E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

থানছি’র দুর্গম অঞ্চলে বন্যার্তদের মাঝে খাদ্যশষ্য বিতরণ

২০১৫ আগস্ট ১৮ ১৭:৪৬:১৩
থানছি’র দুর্গম অঞ্চলে বন্যার্তদের মাঝে খাদ্যশষ্য বিতরণ

বান্দরবান প্রতিনিধি: বান্দরবানের থানছি উপজেলার দুর্গম অঞ্চলে সম্প্রতিকালের বন্যা ও ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে খাদ্যশষ্য বিতরণ করা হয়েছে।

দুর্গম রেমাক্রী বাজারে খাদ্যশষ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য থোয়াই হ্লা মং মারমা। এ সময় অন্যোন্যের মধ্যে থানছি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মং থোয়াই ম্যা রনি, সিংগাফা মৌজার হেডম্যান মুই শৈ থুই মারমা, ইউপি চেয়ারম্যান মালিরাম ত্রিপুরা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মং প্রু অং মারমা, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা উ চ মং মারমা, কাইথাং খুমি, সাই ওয়াং মারমাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

জেলা পরিষদ সদস্য থোয়াই হ্লা মং মারমা জানান, পর পর তিন বারের বন্যা এবং ঘুর্ণিঝড় কোমেন’র প্রভাবে থানছি সদর, বলিপাড়া, তিন্দু ও রেমাক্রী ইউনিয়ন ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যা পরবর্তি সময়ে থানছি সদর ও বলিপাড়ায় স্থানীয় খাদ্য গুদাম থেকে মওজুদকৃত খাদ্যশষ্য বিতরণ সম্ভব হলেও রেমাক্রী ও তিন্দু ইউনিয়নে দুর্গমত্তার কারণে যথা সময়ে খাদ্যশষ্য পৌছানো সম্ভব হয়নি। আবহাওয়া কিছুটা ভাল হওয়ার পর হেলিকপ্টারে করে জরুরী ভিত্তিতে খাদ্যশষ্য দুর্গম এলাকায় পৌঁছে দেয়া হয়। পরবর্তীতে আরো বেশ কিছু খাদ্যশষ্য নৌকা যোগে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়।

সিংগাফা মৌজার হেডম্যান মুই শৈ থুই মারমা জানান, বর্তমানে অতি দুর্গম এলাকায় খাদ্যেও কোন সংকট নেই। তবে প্রবল বর্ষণের কারণে অধিকাংশ জুম ধ্বসে যাওয়ায় ব্যাপক ভাবে জুমিয়া পরিবারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জুমের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হলে জুমিয়া পরিবারগুলোর মাঝে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে।

উল্লেখ্য, রেমাক্রী ইউনিয়নে ৪শ পরিবার এবং তিন্দু ইউনিয়নে দেড়শতাধিক পরিবারকে খাদ্য ও নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে।

(এএফবি/এলপিবি/আগস্ট ১৮, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test