E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পাকশীতে আর্ন্তজাতিক সেতু বিশেষজ্ঞ দলের সেমিনার

২০১৫ আগস্ট ২৩ ২২:৪৬:৫৭
পাকশীতে আর্ন্তজাতিক সেতু বিশেষজ্ঞ দলের সেমিনার

ঈশ্বরদী (পাবনা)প্রতিনিধি :প্রাকৃতিক ও নির্মাণ ক্রুটি এবং কোনো প্রকার বিরূপ প্রভাব ছাড়াই পাকশী হার্ডিঞ্জ সেতুর স্থায়ীত্ব শতবর্ষ অতিক্রম করায় রেল কর্তৃপক্ষ পাকশী সড়ক ও জনপথের  সম্মেলন কক্ষে রবিবার দুপুরে সেমিনারের আয়োজন করেন। এতে জাপান, কোরিয়া, হাঙ্গেরি, স্পেন, ইন্ডিয়া, বাংলাদেশসহ জাইকা ও আইএবিএসই’র ৫০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেন।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন। বক্তব্য দেন সেতু বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দলের দলনেতা ও প্রধান অতিথি আন্তজার্তিক সেতু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, সেতু বিশেষজ্ঞ ও ভারতীয় প্রকৌশলী অমিতাভ ঘোষাল, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান তৌফিকুল আনোয়ার, আইএবিএসই এর সদস্য ড. আজাদুর রহমান, বুয়েটের শিক্ষক ডা. হাসিব মোহাম্মদ হাসান, ড. সাইফুর আলী, ড. আব্দুর রউফ, জাইকার সদস্য কে নোগামি, ক্যারলী হিরোস, টি ইসিকুতা, এডিজিআই কাজী রফিকুল আলম, এডিজি অপারেশন হাবিবুর রহমান, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জিএম খায়রুল আলম, টঙ্গি-ভৈরব ডাবল লাইন প্রকল্পের জিএম সাগর কৃঞ্চ চক্রবর্তি, পশ্চিমাঞ্চল রেলের প্রধান প্রকৌশলী মাহাবুবুল আলম বক্শী, টঙ্গী -ভৈারব ডাবল লাইন প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী সুকুমার ভৌমিক, পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আফজাল হোসেন প্রমূখ বক্তব্য দেন।
দলনেতা ও সেমিনারের প্রধান অতিথি বলেন, হার্ডিঞ্জ সেতুকে বিশ্বের একটি ঐতিহাসিক ও মডেল সেতু হিসাবে চি‎িহ্নত করা যায়। সামাজিক বা প্রাকৃতিক বিরূপ প্রভাব না থাকলে আগামি ২৫ বছরেও হার্ডিঞ্জ সেতুর কোনো ক্ষতি হবে না। সেতুটিকে আরও বেশিদিন নিরাপদে যাতে ব্যবহার করা যায় সেজন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করার লক্ষ্য নিয়েই এই গবেষক দলের পরিদর্শন বলে তিনি জানান। সেমিনার শুরুতই সভাপতি ও রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন প্রজেক্টরের মাধ্যমে হার্ডিঞ্জ সেতুর নির্মাণ সংক্রান্ত ইতিহাস উপস্থাপন করেন।
হার্ডিঞ্জ সেতুর পাশে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প চালু হলে সেতুর কোনো ক্ষতি হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন বলেন, পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কোনো প্রভাব হার্ডিঞ্জ সেতুতে স্পর্শ করবে না। কারণ রাশিয়ান পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করে তা নিশ্চিত করা হয়েছে। একই সাথে তিনি বলেন, আগামি ২৫ বছর নিরাপদে হার্ডিঞ্জ সেতু ব্যবহারের সাথে সাথে পাশে আরও একটি নতুন রেল সেতু নির্মাণ করা হবে। তিনি সাংবাকিদদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, পাকশীর ঐতিহ্যবাহী রেলওয়ে চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপিঠে শ্রীঘ্রই শিক্ষক নিয়োগ ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ হাতে নেওয়া হবে। সেমিনার শেষে বিকেলে বিশেষজ্ঞ দল প্রায় দেড় ঘন্টা ব্যাপী ১ দশমিক ৮১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য হার্ডিঞ্জ সেতু পরিদর্শন করে সেতুটির বাস্তব অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন।

(এসএস/এসসি/আগষ্ট২৩,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test