E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বান্দরবানে মায়ানমার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গুলি বর্ষণ, সর্তকাবস্থায় বিজিবি

২০১৫ আগস্ট ২৬ ১৫:৪৬:৪০
বান্দরবানে মায়ানমার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গুলি বর্ষণ, সর্তকাবস্থায় বিজিবি

বান্দরবান প্রতিনিধি : বান্দরবানের থানছি উপজেলার রোমাক্রী ইউনিয়নের বড় মদক এলাকায় আজ বুধবার সকালে বিজিবির সাথে মায়ানমার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে।

বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের অস্ত্রধারী সদস্যরা বড় মদক বিজিবি ক্যাম্প লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। এ ঘটনায় বিজিবি সদস্য নায়েক জাকির আহত হয়েছে। বিজিবি’র সুত্র জানায়, দুপুর দেড়টার পর থেকে গোলাগুলি বন্ধ রয়েছে। তবে বিজিবি’র সব গুলো বিওপি ক্যাম্প সর্বোচ্ছ সর্তকাবস্থায় রাখা হয়েছে।

থানছির রেমাক্রী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মালিরাম ত্রিপুরা জানিয়েছেন, আজ“বুধবার সকাল ৯টার দিকে বড়মদক এলাকার এক ইউপি সদস্য তাকে জানায়, বিজিবি’র সাথে মায়ানমার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গোলাগুলি শুরু হয়েছে। এলাকার লোকজন আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। বিজিবি’র সুত্র জানায়, আজ সকালে অতর্কিত ভাবে বড়মদক বিজিবি ক্যাম্প লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা জঙ্গল থেকে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। বিজিবিও আত্মরক্ষার্তে কয়েক রাউন্ড পাল্টা গুলি চালিয়েছে। এ ঘটনায় বিজিবি সদস্য নায়েক জাকির আহত হয়েছেন।

এদিকে বিজিবির চট্টগ্রাম দক্ষিণ পূর্ব রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাবিবুল করিম জানিয়েছেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বিজিবি সদস্যদের সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

”সিংগাফা মৌজার মৌজা প্রধান হেডম্যান মুই শৈ থুই মারমা ঘটনার কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন,এ ঘটনার পর লোকজনদের মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে। ঐ এলাকায় যাগাযোগের কোন মাধ্যম না থাকায় সর্বশেষ পরিস্থিতি কি সে বিষয়ে কোন কিছু জানা যায়নি।

স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, মঙ্গলবার বিজিবি সদস্যরা সীমান্তবর্তী আন্দারমানিক এলাকা থেকে ১৩টি ঘোড়া আটক করে। আটককৃত ঘোড়াগুলো বড়মদক বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আজ বুধবার সকালে হঠাৎ করেই বড় মদক বিজিবি ক্যাম্প লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীরা। বড় মদক বাজারে দোকান-পাট ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

এ ঘটনার পর এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। স্থল পথে যোগাযোগের কোন মাধ্যম না থাকায় হেলিকপ্টারের সাহায্যে অতিরিক্ত বিজিবি ও সেনা সদস্য পাঠানো হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় বিজিবি’র প্রতিটি বিওপি সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। বিজিবি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন।

স্থানীয় সূত্র গুলো জানায়, বান্দরবানের অরক্ষিত সীমান্ত এলাকায় মায়ানমারের বেশ কয়েকটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গ্রুপ রয়েছে। তাদের মধ্যে আরাকান আর্মী (এ.এ) আরাকান লিবারেশন পার্টি (এএলপি) আরাকান ডেমোক্রেটিক পার্টি (ডিপিএ)। দীর্ঘদিন যাবদ এই সংগঠন গুলো মাদক চোরাচালানসহ নানা ধরনের অপকর্ম চালিয়ে আসছে। স্থানীয়রা জানায়, গত কয়েকদিন ধরে আরাকান আর্মী (এএ)’র সদস্যরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বড়মদক এলাকা কাছাকাছি জায়গায় অবস্থান করছে।

(এএফবি/এএস/আগস্ট ২৬, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test