E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সুন্দরবনে বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু মনির বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড নিহত, ১২টি অস্ত্র উদ্ধার

২০১৫ আগস্ট ৩১ ১৭:৫০:৩৭
সুন্দরবনে বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু মনির বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড নিহত, ১২টি অস্ত্র উদ্ধার

বাগেরহাট প্রতিনিধি :বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনে কথিত বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু মনির বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড খলিলুর রহমান (৩২) নিহত হয়েছেন। সোমবার ভোরে শরণখোলা রেঞ্জের দজলার খাল এলাকায় র‌্যাব-৮ এর এই বন্ধুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এসময়ে ঘটনাস্থল থেকে বনদস্যু দলের সদস্যদের ব্যবহৃত ১২ টি দেশি আগ্নেয়াস্ত্র, ৬টি ধারালো দা এবং ১১৪ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করেছে।

নিহত খলিল বনদস্যু মনির বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড বলে র‌্যাব জানিয়েছে। এদিন দুপুরে খলিলের লাশ ও অস্ত্র-গুলি শরণখোলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এঘটনায় র‌্যাবের এসআই মাসুদ বাদি হয়ে শরণখোলা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। নিহত খলিল বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার হাড়িটানা গ্রামের আয়নাল হক হাওলাদারের ছেলে।

বরিশাল র‌্যাব-৮ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ফরিদুল আলম জানান, বনদস্যু মনির বাহিনীর সদস্যরা সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দজলার খাল এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে মেজর আদনান কবীরের নেতৃত্বে র‌্যাব সদস্যরা সেখানে অভিযান চালায়। এসময় র‌্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে বনদস্যুরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। র‌্যাব সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় আধাঘন্টা ধওে চলে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি। একপর্যায়ে দস্যুরা পিছুহঠে গহীন বনে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থ তল্লাশী করে বনদস্যু খলিলুর রহমানের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ, ৭টি একনলা বন্দুক, ১টি দোনরা বন্দুক, ৩টি এলজি, ১টি এয়ারগান, ৬টি ধারালো দা ও ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রায় ১১৪ রাউন্ড তাজাগুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রায় দু’বছর আগে আইন-শৃংখলা বাহিনীর হাতে জেহাদ বাহিনী প্রধান জেহাদ নিহত হলে ওই বাহিনী ভেঙ্গে মনির ও বেল্লাল বাহিনী সুন্দরবনে তাদের অপতৎপরতা শুরু করে। নিহত বাহিনী প্রধান জেহাদের স্ত্রী নুপুর বেগমকে বিয়ে করে বনদস্যু মনির বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড খলিলুর রহমান। আলোচিত এই নুপুর বেগম জানান, তার স্বামী খলিলকে গত মাসের ২৫ জুলাই একই এলাকার বাসিন্দা লাভলু মীর, বাদশা ও হালিম খা নামের তিন ব্যক্তি দাওয়াত খাওয়ার কথা বলে দুপুরে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এর পর থেকে সে নিখোঁজ ছিল । এঘটনায় তিনি ২ আগস্ট পাথরঘাটা থানায় ৭২ নম্বর সাধারণ ডায়েরী করেন। তার স্বামী ডাকাতের সাথে জড়িত নয় বলে তিনি দাবি করে জানান, খলিল পাঠরঘাটা এলাকার বিন্দু মাসি ওরফে রিনার ফিশিং ট্রলারে থেকে মাছ ধরে সংসার চালাতো।

(একে/এসসি/অঅগস্ট৩১,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test