E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গাজীপুরে হত্যা মামলার বাদী অপহরণ, ৬ দিন পর উদ্ধার

২০১৫ সেপ্টেম্বর ০২ ১৬:১৪:২৬
গাজীপুরে হত্যা মামলার বাদী অপহরণ, ৬ দিন পর উদ্ধার

বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: গাজীপুর জেলার টঙ্গী থেকে অপহরণ হওয়া হত্যা মামলার বাদী আরিফুল ইসলাম (৩০) কে মৌলভীবাজারের বড়লেখা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

৬ দিন পর অপহরণকারীরা হাত-পা বেঁধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ফেলে গেলে এলাকাবাসী উদ্ধার করে।

এলাকাবাসী, পুলিশ, অপহৃত যুবক ও তার স্বজন সুত্রে জানা গেছে, গত ২৭ আগস্ট ঢাকার গাজীপুর জেলার টঙ্গী থানার নিশাতনগর গ্রামের মৃত আতাউর রহমানের পুত্র আরিফুল ইসলাম চৌরাস্তা জজ কোর্টের সামনে থেকে অপহৃত হন। এদিন তিনি নিহত বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম হত্যা মামলার বাদী হিসেবে আদালতে হাজিরা দিতে যান। হাজিরার দেওয়ার পর একটি প্রোভক্স কার তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে গাড়িতে উঠায়। এর প্রায় ৩০ মিনিট পর ওই ড্রাইভার আরো ২ জন লোককে গাড়িতে উঠায়। গাড়িতে উঠা ২ জন লোক জুস পান করে ও তাকে জুস পান করতে দেয়। আরিফুল জুস পান করার পর অজ্ঞান হয়ে যায়। এরপর সে আর কিছু বুঝতে পারেনি। এদিকে সে বাড়ি না ফেরায় উদ্বিগ্ন পরিবার অনেক খোঁজাখুঁজির পর তার সন্ধান পায়নি। পরে তার খালাতো ভাই মো: আলমাছ আলী বাদী হয়ে গাজীপুর সদর থানায় ২৮ আগস্ট একটি জিডি করেন। ১ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে ১০ ঘটিকায় অপহৃত আরিফুল ইসলামকে বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ ইউনিয়নের হাকাইতি নাম স্থানে হাত-পা, চোখ, বেঁধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মৃত মনে করে ফেলে যায় অপহরনকারীরা। পরে পথচারীরা দেখতে পেয়ে এলাকাবাসীর সহোযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে বড়লেখা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তার জ্ঞান ফেরে। এরপর সে তার বাড়ির স্বজনদের মোবাইল ফোন নম্বর উদ্ধারকারীদের দেয়। তারা তার বাড়িতে যোগাযোগ করে তার অবস্থান জানান। সংবাদ পেয়ে তার স্বজনরা গাজীপুর সিটি করর্পোরেশনের ৫২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাজী আতাউর রহমানকে সাথে নিয়ে ২ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায় বড়লেখায় আসেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বড়লেখা থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে তার স্বজনরা তাকে নিয়ে গাজীপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। বড়লেখা হাসাপাতালে অপহৃত আরিফুলের খালাতো ভাই মো: আলমাছ আলী জানান, নিখোঁজের ২ দিন পর একটি অপরিচিত মোবাইল ফোন নম্বর থেকে ফোন করে তাদের জানানো হয় জাহাঙ্গীর হত্যার মামলাটি তুলে নিলে আরিফুলকে জীবিত ফেরত দেওয়া হবে।

তিনি আরো জানান, পেশায় দিনমজুর আরিফুলের ছোট ভাই আশরাফুল ইসলামকে ২০০৮ সালে ও বড়ভাই জাহাঙ্গীরকে ২০১৪ সালে গলায় ফাঁস লাগিয়ে সন্ত্রাসীরা হত্যা করে।

বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভিকটিমকে স্বজদের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

(এলএস/এলপিবি/সেপ্টেম্বর ২, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test