E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

উত্তাল ব্র‏হ্মপুত্রে গৌরীপুরের আরও ৩টি গ্রাম অস্তিত্ব সংকটে

২০১৫ সেপ্টেম্বর ০৫ ১৭:৩৫:৪৫
উত্তাল ব্র‏হ্মপুত্রে গৌরীপুরের আরও ৩টি গ্রাম অস্তিত্ব সংকটে

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: বেশ কয়েকদিনের টানা বর্ষণে বাড়ছে ব্র‏হ্মপুত্রের পানি। উত্তাল নদের স্রোতে ভাঙছে পাড়, বিলীন হয়ে যাচ্ছে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার আরও ৩টি গ্রাম।

উপজেলার নাপ্তের আলগী, ভাটিপাড়া আর ভোলার আলগী। নাপ্তের আলগী বেড়িবাঁধ সড়কটি নদের পেটে বিলীন হয়ে গেছে। এলাকাবাসীর উদ্যোগে নির্মিত নদের বাঁধও ভেঙ্গে গেছে। স্মৃতিচিহ্ন নেই নারগিসের বাড়ির। হাত দিয়ে দেখালেন, শুধু উত্তাল ঢেউ। খেয়াপাড়ের ঘাটেরও অস্তিত্ব নেই। সহস্রাধিক কৃষকের ফসলী জমি, শতাধিক পরিবার বসতভিটা হারিয়ে আজ নিঃস্ব। প্রতিকারের নেই কোন উদ্যোগ। ওদের হাহাকারের আজাহারির শব্দ শুনতে পাচ্ছেনা বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।

গত শুক্রবার (২৮ আগস্ট) নদের ভাঙ্গন রোধে এলাকাবাসী জুম্মার নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতে শরীক হন।

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের ভাটিপাড়ার গ্রামের ইতিমধ্যে উমেদ আলীর পুত্র বাচ্চু মিয়া, ওয়াহেদ আলীর পুত্র খালেক, আব্দুল খালেকের স্ত্রী নারগিস আক্তার, শাহাব উদ্দিন, খুদরত আলীর পুত্র মুরশিদ আলী, জয়নাল মিয়া, রজব আলী, তাহের উদ্দিনসহ ৩৫টি পরিবারের বাড়িভিটা কেড়ে নিয়েছে নদ। স্রোতে হারিয়ে গেছে গ্রামের রক্ষা বাঁধ। গ্রামবাসীর উদ্যোগে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। সে বাঁধও রাক্ষসী স্রোতে ভেঙে গিয়েছে। একাধিকবার নদের তীরে নির্মিত বসতভিটা হারিয়েছে সুতি। পরিবারের সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়ে শংকা। আবারও নদের গর্ভের বিলীন হওয়ায় আশংকায় রাত কাটাচ্ছে রুবেল মিয়া, আলাল উদ্দিন, বাবুল মিয়া, শফিকুল ইসলাম, জামাল মিয়া, সুতি, রবিকুল, আব্দুল গনি, আব্দুল কদ্দুছ, মমতাজ, মেয়া হোসেন, বাচ্চু মিয়া, হুমায়ুন কবির, রবিকুল ইসলাম, রজব আলী, উমেদ আলী।

বসতভিটা হারানোর আশংকায় রাতে ঘুমাতে পারছে না শতাধিক পরিবার উল্লেখ করে ভাংনামারী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আহসান হাবিব মালেক এ প্রতিনিধিকে জানান, গ্রাম রক্ষার জন্য বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে আরও ২/৩টি গ্রাম নদের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। গতবছর ক্ষতিগ্রস্ত অর্ধশত পরিবারকে সহযোগিতা দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বর্তমানের ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির জন্য বলা হয়েছে। ভাটিপাড়া গ্রামের জামে মসজিদটি গ্রামবাসী তৃতীয় দফা স্থান বদল করেন। তবু শেষ রক্ষা হচ্ছে না। দু’এক দিনের মধ্যে আবারও স্থান পরিবর্তন না করলে আবারো যাবে নদের গর্ভে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দূর-রে-শাহওয়াজ জানান, ভাঙ্গন কবলিত এলাকা রক্ষার জন্য রির্পোট পানি উন্নয়ন বোর্ডে প্রেরণ করা হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রকল্প গতবছর নেয়া হয়েছে, তা আজও আলোর মুখ দেখেনি।

(এসআইএম/এলপিবি/সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test