E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গৌরীপুরে বিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ কোচিং বাণিজ্য, পরীক্ষার আগে প্রস্তুতি পরীক্ষা!

২০১৫ সেপ্টেম্বর ১২ ১৫:৩৭:০৭
গৌরীপুরে বিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ কোচিং বাণিজ্য, পরীক্ষার আগে প্রস্তুতি পরীক্ষা!

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ৫৭নং ডৌহাখলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে সরকার নিষিদ্ধ কোচিং বাণিজ্য!

সেখানে ৩য় শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। কোচিং ফি বাবদ নেয়া হচ্ছে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণি ১৫০টাকা ও ৫ম শ্রেণিতে ২০০টাকা।

সারাদেশে চলছে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনির মডেল টেস্ট পরীক্ষা। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসছে। ৮টা ১৫মিনিটে একজন সহকারী শিক্ষক রুনা আক্তার স্কুলে আসেন। সেদিন ছিল ৫ম শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা পরীক্ষা। এ পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১১টায়। তবে পরীক্ষার্থীদের আসতে বলা হয়েছে সকাল ৮টায়। উদ্দেশ্য পরীক্ষার পূর্বপ্রস্তুতি পরীক্ষা অর্থাট মডেল পরীক্ষার পূর্বে হবে কোচিং এর পরীক্ষা।

সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন সহকারী শিক্ষক প্রভাতী রানী।

শিক্ষকদের এ অপরাধের দায়মুক্তি দিতে ছাত্রছাত্রীরাও বিদ্যালয়ের পিছনের সরুপথে চলে যেতে বাধ্য হয়। ম্যাডামদের মার্কিং করে দেয়া প্রশ্নই পরীক্ষায় আসে একযোগে ৫ম শ্রেণির সকল ছাত্রছাত্রীরা স্বীকার করে। কোচিংয়ে ছাত্রছাত্রীদের সম্ভাব্য প্রশ্নের নামে পরীক্ষার প্রশ্ন বলে দিলেও তা বিদ্যালয়ের সকল ছাত্রছাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত নয়। কোচিংয়ে সম্ভাব্য প্রশ্ন দিয়েই পরীক্ষা নেয়া হয় বলে জানান ৫ম শ্রেণির ছাত্র হারিজুল ইসলাম ও রুকনুজ্জামান।

পরীক্ষার দিন সকালে এমন পরীক্ষা নেয়ার খবরে বিস্ময় প্রকাশ করে এলাকাবাসী। ছাত্রছাত্রীদের নিকট থেকে কোচিং ফি নেয়ার বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে তা স্বীকার করে প্রধান শিক্ষক আসলাম হায়দার বলেন, মডেল টেস্টের হুবহু প্রশ্ন দিয়ে দেয়া হয় না। তবে তাদেরকে দেয়া সাজেশন কমন পড়তে পারে।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নিতাই কুমার চন্দ বলেন, কমিটির সভা করে কোচিং বন্ধ করার জন্য প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পরীক্ষার দিনে সকালে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে এনে সাজেশন বা পরীক্ষা যার জন্যও এনে থাকে এটা ঠিক করেনি উল্লেখ করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ জানান, বিদ্যালয়ে কোচিং কোন অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(এসআইএম/এলপিবি/সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test