E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

লোহাগড়ায় যৌতুকের দাবিতে এক সন্তানের জননীর ওপর নির্যাতন

২০১৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ১৪:২০:১৪
লোহাগড়ায় যৌতুকের দাবিতে এক সন্তানের জননীর ওপর নির্যাতন

লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি: নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লুটিয়া গ্রামে যৌতুকের দাবিতে শ্বশুর বাড়ির লোকজন এক সন্তানের জননীর ওপর নির্যাতন চালিয়ে গুরুতর আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আহতকে লোহাগড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি উপজেলার দিঘলিয়া ইউপি’র লুটিয়া গ্রামের তোতা মোল্যার ছেলে শাহজাহান মোল্যার সাথে একই উপজেলার মরিচপাশা গ্রামের আকুব্বর সরদারের মেয়ে সালমা খানমের সাথে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের সময় সালমার অভিভাবকরা স্বর্ণালংকারসহ স্বামী শাহজাহানকে ব্যবসা করার জন্য ৫০ হাজার টাকা দেয়। বর্তমানে তাদের সংসারে লামিয়া নামে ৩ বছর বয়সী কন্যা সন্তান রয়েছে।

শুরু থেকেই যৌতুক লোভী স্বামী শাহজাহানসহ তার পরিবারের সদস্যরা সালমার ওপর টাকা চেয়ে বিভিন্ন কায়দায় অপমানসহ নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েক দফায় শালিসী সভা করেও সমস্যার কোন সমাধান হয়নি।

গত আগস্ট মাসে সুচতুর ও ধূরন্ধর স্বামী শাহজাহান (২৭) বিদেশ যাওয়ার জন্য শ্বাশুড়ি শেফালি বেগমের কাছ থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা কৌশলে হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়। স্বামী লাপাত্তা হয়ে যাওয়ার পর সালমা তার সন্তানকে নিয়ে পিতৃলয়ে চলে আসে। এই সুযোগে শাহজাহানের বড় ভাই আফজাল মোল্যা বাদী হয়ে সালমাসহ তার পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করার জন্য নড়াইল আদালতে একটি মামলা দায়ের করে।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর সালমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার স্বামী শাহজাহান বাড়িতে এসেছে মর্মে সালমাকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ওই দিন বিকালে সালমা ও তার মা শেফালী বেগম লুটিয়া গ্রামে যান। এ সময় সালমার ভাসুর লুটিয়া গ্রামের তোতা মোল্যার ছেলে আফজাল, সাজ্জাদ, খাজা, খায়ের, শ্বাশুড়ি তহুরুন বেগম, ননদ আসমা বেগম, যা শারমিন বেগম পরস্পর যোগসাজে সালমা (২২) কে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে সালমার গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার চেষ্টা চালায়। এ সময় তার মা শেফালী বেগম মেয়েকে ঠেকাতে গেলে তাকেও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে মারধর করে। সালমা ও তার মার ওপর নির্যাতনের খবর পেয়ে রাতেই তার ভগ্নিপতি বসুপটি গ্রামের সুজন শিকদার মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে লোহাগড়া হাসপাতালে ভর্তি করে।

বর্তমানে নির্যাতনের শিকার সালমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ ঘটনায় সালমা বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে ৭ জনকে আসামী করে লোহাগড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ লুৎফর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এজাহার ভুক্ত আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে।

(আরএম/এলপিবি/সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test