E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাগেরহাটে প্রচারণা ছেড়ে লবিংয়ে ব্যস্ত সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা!

২০১৫ নভেম্বর ২৪ ১৭:৫০:৫৭
বাগেরহাটে প্রচারণা ছেড়ে লবিংয়ে ব্যস্ত সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা!

বাগেরহাট প্রতিনিধি : এবার প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতিকে হবে পৌরসভা নির্বাচন। পেতে বিশেষ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীরা দৌড় ঝাপ করেছেন। তবে বিএনপির প্রার্থীরা এক্ষেত্রে খানিকটা পিছিয়ে রয়েছেন। নির্বাচনের তারিখ ঘোষনার পর বাগেরহাট, মংলা পোর্ট ও মোড়েলগঞ্জ পৌর এলাকায় বইছে নির্বাচনী হাওয়া। এই নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা স্থানীয় ও জেলা নেতাদের সাথে শুরু করেছে জোর লবিং।

আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে বাগেরহাট পৌরসভায় শক্ত অবস্থানে রয়েছে আওয়ামী লীগ। গত দুটি নির্বাচনে এই পৌরসভায় মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী খান হাবিবুর রহমান। জনসমর্থনের দিক থেকে পিছিয়ে নেই বিএনপিও। এই দুটি দলের মধ্যে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে হবে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই এমনটাই মনে করেন অধিকাংশ ভোটারা। বিএনপির শক্ত ঘাটি হিসাবে পরিচিত মংলা পোর্ট পৌরসভার বর্তমান মেয়র হচ্ছেন বিএনপি নেতা জুলফিকার আলী। এই পৌরসভায়ও আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থীদের মধ্যে লড়াই হবে সমানে-সমানে।

মোড়েলগঞ্জ পৌরসভা বিগত নির্বাচনে বিজয়ী বর্তমান মেয়র রয়েছেন পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক এ্যাডভোকেট মো. মনিরুল হক তালুকদার। এ পৌরসভায়ও আসন্ন নির্বাচনে সরাসরি লড়াই হবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর মধ্যে। বাগেরহাটের এই তিনটি পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সম্ভাব্য একাধিক প্রার্থী সরব রয়েছেন নিবাচনী মাঠে। স্ব-স্ব দলের পক্ষে দলীয় প্রার্থী হতে প্রচারনা ছেড়ে এখন এমপি ও দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে নিজ যোগ্যতার প্রমান দিতে মিছিল-মিটিং ও ব্যপক শোডাউন করছেন।

বাগেরহাট পৌরসভা মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হতে যারা তৎপর তাদের মধ্যে রয়েছেন বাগেরহাট পৌরসভার দুই বারের নির্বাচিত মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খান হাবিবুর রহমান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্যানেল মেয়র মীনা হাসিবুল হাসান শিপনও দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি। এছাড়া বিএনপির দলীয় প্রার্থী হতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, বর্তমান পৌর বিএনপির আহবায়ক শেখ শাহেদ আলী রবি, জেলা বিএনপির ক্ষুদ্র কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক একাধিকবার নির্বাচিত প্রয়াত পৌরসভার চেয়ারম্যান আতাহার হোসেন আবু মিয়ার ছোট ছেলে সাঈদ নিয়াজ হোসেন শৈবাল।

মংলা পোর্ট পৌরসভা বর্তমান মেয়র বিএনপি নেতা জুলফিকার আলী, আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে সাবেক পৌর চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সালাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইজারাদার বুলবুল আহমেদ, মংলা বন্দরের প্রভাবশালী শ্রমিক নেতা শাহজাহান শিকারীও আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি।

মোড়েলগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে ইতিমধ্যে মেয়র পদে প্রার্থী হতে তৎপরতা তাদের মধ্যে রয়েছেন মোরেলগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক এ্যাডভোকেট মো. মনিরুল হক তালুকদার, মোরেলগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ শাহাবুদ্দিন তালুকদার, বিএনপি সম্ভব্য প্রার্থী হিসেবে পৌর আহবায়ক আ.মজিদ জব্বার, থানা বিএনপির আহবায়ক মো.শহিদুল হক বাবুল, বিএনপি নেতা মোঃ ওয়ালিউর রহমান পল্টুও বিএনপি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি। এছাড়া জাতীয় পার্টীর মেয়র প্রার্থী হিসাবে রয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতা ও মোড়েলগঞ্জ উপজেলা আহবায়ক সোমনাথ দে।

আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে ভালো লবিং, মিছিল-মিটিংয়ে নিজ পক্ষের নেতাকর্মীদের নিয়ে সরব উপস্থিতি ও দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে দুর্ষময়ের কান্ডারী হিসেবে পরিচিত দুইবারের নির্বাচিত পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান দলীয় মনোনয়নের দৌড়ে আছেন ভালো অবস্থানে। অন্যদিকে, দলীয় প্রার্থী হতে বসে নেই সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সম্ভব মেয়র প্রার্থী তরুণ নেতা মিনা হাসিবুল হাসান শিপন। তিনিও নিজ পক্ষের নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজনীতির মাঠে নিজের পক্ষ্যে সর্বোচ্ছ জন সমর্থক প্রমান করতে দলীয় মিছিল মিটিংএ সমান তালে শোডাউন দিয়ে যাচ্ছেন।

বিএনপি দলীয় প্রতীকের স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কঠোর বিরোধিতা করলেও প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে তারাও পিছিয়ে নেই। জেলা বিএনপির একাধিক নেতাদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, দলীয় অথবা স্বতন্ত্র, যেভাবেই হোক নির্বাচনী মাঠে থাকবেন বিএনপির প্রার্থীরা। যে কারনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা ঘরে বসে নেই। আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে বাগেরহাটের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল বিএনপিতেও রয়েছে একাধিক মেয়র প্রার্থী। হামলা-মামলায় আত্মগোপনে থাকা বিএনপির প্রার্থীরাও নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনের মাঠে উপস্থিতি দিতে না পারলেও দলীয় প্রার্থী হতে জেলা পর্যায়ের নেতাদের সাথে জোর লবিং এ ব্যস্ত রয়েছেন। সে ক্ষেত্রে বিএনপির নেতৃত্বদাধীন ২০ দলীয় জোটের বিএনপির প্রার্থীরা দলীয় বা সতন্ত্র ভাবে নির্বাচনে অংশ নিলে বাগেরহাট জেলায় জামায়াত ইসলামী ২০ দলীয় জোটের পাশে থাকবে এমটাই ধারনা করা হচ্ছে।

(একে/এএস/নভেম্বর ২৪, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test