E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

উত্তর জনপদে জেঁকে বসেছে শীত,জনদুর্ভোগ চরমে

২০১৫ ডিসেম্বর ২০ ২০:১৮:৪৩
উত্তর জনপদে জেঁকে বসেছে শীত,জনদুর্ভোগ চরমে

একরাম তালুকদার,দিনাজপুর থেকে:হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দিনাজপুরসহ দেশের জনপদে জেঁকে বসেছে শীত। দিনে দিনে কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। গতকাল রোববার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এটি এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে আঞ্চলিক আবহাওয়া দপ্তর। এদিকে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় দিনাজপুরসহ এই অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছে বিপাকে।

বাংলা ক্যালেন্ডারের পাতায় পৌষের এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই দেশের উত্তরের জেলা দিনাজপুরসহ এই অঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। বিকেল হতে না হতেই ঘন কুয়াশায় আচ্ছদিত হয়ে পড়ছে উত্তর জনপদ। আর তা থাকছে সকাল ১০টা পর্যন্ত। পাশাপাশি হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত এই অঞ্চলের উত্তরের হিমেল হাওয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা।

দিনাজপুর আঞ্চর্লিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ তোফাজ্জল হোসেন জানান, রোববার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা এই শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গত বছর ১০ জানুয়ারী দিনাজপুরে তাপমাত্রা ছিলো ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তিনি জানান, উত্তরের হিমেল বাতাসের কারনে প্রতিদিন তাপমাত্রা কমছে। গত শনিবার দিনাজপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আর একদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরে ১ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস কমে ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। এই মাসের শেষে দিকে তাপমাত্রা আরও কমে আসবে বলে আশংকা প্রকাশ করেন আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ তোফাজ্জল হোসেন।

এদিকে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় এই অঞ্চলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সন্ধ্যা হতে না হতেই শহরে জনসমাগম কমছে। তীব্র শীতে ছিন্নমুল ও অসহায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে চরমে। আর খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছে বিপাকে। দিনাজপুর শহরের রিক্সা চালক আমিনুল ইসলাম জানান, শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ঠিকমত কাজ করতে পারছে না সে। এরপরও পরিবারের আহার যোগাতে তাকে বাড়ী থেকে রিক্সা নিয়ে বের হতে হচ্ছে। কিন্তু তীব্র শীতে ঠিকমত রিক্সা চালাতে না পেরে রোজগার কমেছে তার। আর কম রোজগার দিয়েই কোনভাবে পরিবার চালাতে হচ্ছে তাকে। বিপাকে পড়েছে গ্রামাঞ্চলের কৃষি শ্রমিকরাও।

দিনাজপুরের বিরল উপজেলার কানাইবাড়ী গ্রামের কৃষি শ্রমিক মনসুর আলী জানান, তীব্র শীত উপেক্ষা করে একটু কাজ করতে না করতেই গোটা শরীর জড়োসড়ো হয়ে আসছে। কিন্তু কাজ না করলে খাবে কি ? তাই বাধ্য হয়েই পেটের তাগিদে কাজ করতে বের হয়েছে সে।

এদিকে তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশার কারনে আলুসহ রবিশষ্যের ক্ষতির আশংকা করছেন কৃষকরা। দিনাজপুর সদর উপজেলার মাঝাডাঙ্গা এলাকার কৃষক গোলাম মোস্তফা জানান, ঘন কুয়াশার কারনে আলু ক্ষেতে বিভিন্ন ছত্রাক জাতীয় রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ফলে আলুর উৎপাদন কমে যাওয়ার আশংকা করছেন তিনি।

(এটি/এস/ডিসেম্বর২০,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test