E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

দিনাজপুরে ৩ জেএমবি’র স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী

২০১৫ ডিসেম্বর ২৯ ১৭:০৭:১৭
দিনাজপুরে ৩ জেএমবি’র স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী

দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুর সদর উপজেলার তৃপ্তি ফিলিং ষ্টেশনে ডাকাতিকালে গুলিবর্ষণ ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটনায় ৩ জেএমবি সদস্য চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। 

আদালতের একটি সূত্রে প্রকাশ, মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দিনাজপুরের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এফ এম আহসানুল হকের আদালতে এই চাঞ্চল্যকর মামলার গ্রেফতারকৃত ৩ জেএমবি সদস্য স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান ৩ জেএমবি সদস্যকে বিচারকের নিকট সোপর্দ করে তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী রেকর্ড করার আবেদন করলে বিচারক মঙ্গলবার এই ৩ জনের জবানবন্দী রেকর্ড করেন।

জবানবন্দী প্রদানকারীরা হলেন জেএমবি সদস্য পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার রানায়নপাশা গ্রামের শমসের আলী হালদারের পুত্র জোবায়ের হোসেন ওরফে শাহীন (২৫), পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার ধনমন্ডল গ্রামের ওসমান গনির পুত্র সাদ্দাম হোসেন (২৫) ও দিনাজপুর সদর উপজেলার গুঞ্জাবাড়ী এলাকার আব্দুল কাইয়ুমের পুত্র ওরফে হাবিব (৩২)।

এদের নিকট থেকে পুলিশ ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ৩টি ইউএসএ পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি, ১টি ককটেল, ১টি গুলির খোসা, ৩টি মোটরসাইকেল, নগদ ১৪ হাজার ২৮১ টাকা, ২৫টি লিফলেট ও ১১টি জিহাদী বই উদ্ধার করে। সূত্রটি জানায়, জবানবন্দীতে তারা দিনাজপুর ও রংপুর বিভাগের কয়েকটি অঞ্চলে ব্যাংক, পেট্রোল পাম্প, বীমা প্রতিষ্ঠান, সরকারী অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডাকাতির জন্য পরিকল্পনা করেছিল।

পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের টিমের সদস্যরা এসব ডাকাতি করতো। এর জন্য তাদের সংগঠন থেকে জেএমবি’র কয়েকটি টিমকে ভাগ করে অঞ্চল ভিত্তিক পাঠিয়েছিল। তারা দিনাজপুর শহরের ১টি বাড়ী মাসিক ২১শ টাকায় ভাড়া নিয়ে প্রায় ১৫ দিন থেকে অবস্থান করেছিলেন। তাদের সহযোগীদের সম্ভাব্য ঠিকানা ও নাম জবানবন্দীতে প্রকাশ করেছে। তারা সংগঠনের অর্থ সংগ্রহের জন্যই এই ডাকাতি সংগঠিত করেছিল।

উল্লেখ্য যে, ১০ ডিসেম্বর রাত ৯টায় দিনাজপুর সদর উপজেলার নতুন ভুষিরবন্দর তৃপ্তি ফিলিং ষ্টেশনে জেএমবি’র ৯ সদস্য হামলা চালিয়ে গুলি বর্ষণ ও বোমা বিস্ফোরণে ডাকাতি করে। ডাকাতেরা ১ লাখ ৬৯ হাজার টাকা নিয়ে যাওয়ার পথে জনতার হাতে ৩ জন ও পুলিশের হাতে ২ জন আটক হয়। জনতার হাতে আটক ৩ জনের মধ্যে সাব্বির গণপিটুনিতে নিহত এবং ওসমান গনি গণপিটুনিতে আহত হয়ে দিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এই ঘটনায় পেট্রোল পাম্পের ম্যানেজার অলক কুমার রায় বাদী হয়ে ১টি ডাকাতি এবং কোতয়ালী থানার এসআই জিয়াউর রহমান বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করে। অস্ত্র আইনের মামলায় মঙ্গলবার এই ৩ জেএমবি সদস্য স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। ২২ ডিসেম্বর ডাকাতির মামলায় ৩ জেএমবি সদস্য ডাকাতির ঘটনা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছিলেন।

(এটি/এএস/ডিসেম্বর ২৯, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test