E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাগেরহাটে বিনামূল্যের পাঠ্য বই দিতে প্রধান শিক্ষকের টাকা গ্রহন

২০১৬ জানুয়ারি ০৪ ১৭:৩৬:১৮
বাগেরহাটে বিনামূল্যের পাঠ্য বই দিতে প্রধান শিক্ষকের টাকা গ্রহন

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের শরণখোলায় উপজেলায় এক প্রধান শিক্ষক সরকারের বিনা মূল্যে দেয়া পাঠ্য বই টাকার বিনিময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়েছে। উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের ৩নং বাধাঁল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জসিমা আক্তার এই অনৈতিক কাজটি করেছেন।

ওই বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও স্কুল পরিচালনা কমিটির একাধিক সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শুক্রবার সারা দেশের ন্যায় শরণখোলা উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনা মূল্যে সরকারি পাঠ্য বই বিতরণ করা হলেও বাধাঁল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জসিমা আক্তার তার বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণী-থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ২৫ থেকে ৩০ টাকা নিয়ে তাদের পাঠ্য বই দিয়েছে। আর যেসব ছাত্র-ছাত্রী ও অভিবাবকরা টাকা দিতে অনীহা প্রকাশ করেছে তাদেরকে বই না দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছে প্রধান শিক্ষক।

বাধাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী রনি, নয়ন, জান্নাতি, নজরুল, আফসান, মাকসুদা, বুলবুলিসহ অভিভাবক রুপবান বিবি, আমেনা বেগম, কাজী মন্নু এবং স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য ফরিদ আহম্মেদ, রেজাউল করিম পল্টু জানায়- সরকারের দেয়া বিনামূলে বিতরনের জন্য দেয়া পঠ্য বই বিতরণ কালে প্রধান শিক্ষক জসিমা আক্তার ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ২৫ থেকে ৩০ টাকা করে নিয়েছেন। টাকা না দেয়ায় অনেক ছাত্র-ছাত্রীকে প্রধান শিক্ষক বই না দিয়ে তাদের বাড়ীতে পাঠিয়ে দিয়েছে। এভাবে প্রধান শিক্ষক শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক হাজার টাকা। তার জামাতা ওই বিদ্যালয়টির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি থাকার কারনে তিনি কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নিজের খেয়াল খুশি মত বিদ্যালয়টি পরিচালনা করে আসছেন।

ধানসাগর ইউপি সদস্য মো. রেজাউল করিম পল্টু বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে বই বিতরণের নামে টাকা গ্রহন সহ বিভিন্ন দুর্নীতির বিষয় উল্লেখ করে তিনি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি।

বাধাঁল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, টাকা গ্রহনের বিষয়টি তিনি জেনেছেন। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে গ্রহনকৃত টাকা অবিলম্বে ফেরৎ দেয়ার জন্য ইতিমধ্যে প্রধান শিক্ষককে বলা হয়েছে।

শরণখোলা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোশতাক আহম্মেদ জানান, বিষয়টি তার নজরে এসেছে। অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জসিমা আক্তারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

(এসএকে/এইচআর/জানুয়ারি ০৪, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test