E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কালীগঞ্জে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ,ছুরিকাঘাতে যুবক জখম

২০১৬ জানুয়ারি ১৮ ২১:৫৪:০০
কালীগঞ্জে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ,ছুরিকাঘাতে যুবক জখম

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :অষ্টম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা ও আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল সোমবার সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শিমুল বিশ্বাস তার ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করেন।

এদিকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধর্ষকের ছুরিকাঘাতে জখম যুবক সজলের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, রোববার সকাল ১১টার দিকে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার চম্পাফুল ইউনিয়নের রিক্সা চালকের মেয়ে ও আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী তার স্কুলের শিক্ষক রুস্তুম আলীর কাছে পড়তে যাচ্ছিল। শ্রীউলা ও বারোদহের সংযোগকারি কাঠের ব্রীজের উপর থেকে আশাশুনি উপজেলার শ্রীকলস গ্রামের গোলপাতা ব্যবসায়ি মোবারক গাজীর ছেলে আল আমিন তাকে মোটর সাইকেলে করে অপহরণ করে। পরে তাকে নবীননগর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আজিমউদ্দিনের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে।

স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে আটকের চেষ্টা করলে ধর্ষক মোটর সাইকেল নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পথিমদ্যে কাঁকড়া ধরে বাড়ি ফেরার সময় কালীগঞ্জ উপজেলার রাজাপুর গ্রামের ইউসুফ গাজীর ছেলে সজল গাজী তার মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে। এ সময় সজলকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতা তাকে আটক করে। পরে পুলিশ এসে ধর্ষণে সহেেযাগিতাকারি আজিমউদ্দিনের স্ত্রী নূরজাহান ও ধর্ষক আল আমিনকে (২৩) আটক করে। উদ্ধার করা হয় ওই স্কুল ছাত্রীকে।

আহত সজল গাজীকে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা ও জখম সজল গাজীর মা রোমেছা খাতুন বাদি হয়ে রোববার রাতেই থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন।

ধর্ষিতার মায়ের অভিযোগ,তার স্বামী ঢাকায় রিক্সা চালায় জেনেও পুলিশ প্রথমে মামলা নিতে চায়নি। পরে থনা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে উপপরিদর্শক হেকমত আলী তার কাছে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেন। তাৎক্ষণিকভাবে উপপরিদর্শক হেকমত আলীতে দু’ হাজার ও পরে আড়াই হাজার টাকা দিয়ে ম্মালা রেকর্ড করানো হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক হেকমত আলী জানান, ওই স্কুল ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা ও আদালতে জবানবন্দি শেষ হয়েছে। বিচারকের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে আল আমীনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছে ওই ছাত্রী। তবে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের নির্দেশে টাকা নিয়ে ওই ছাত্রীর মায়ের দায়েরকৃত মালা রেকর্ড হওয়ার কথা অস্বীকার করেন তিনি।


(আরএনকে/এস/জানুয়ারি ১৮,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test