E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সাতক্ষীরায় নবজাতক হত্যার দায়ে মায়ের ফাঁসি

২০১৬ জানুয়ারি ২১ ১৫:০০:৪৯
সাতক্ষীরায় নবজাতক হত্যার দায়ে মায়ের ফাঁসি

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি  : নবজাতক শিশু কণ্যাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে মাকে  ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহষ্পতিবার দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২য় আদালতের বিচারক শরিফ এএম রেজা জাকের এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামী পলাতক রয়েছেন।

আসামীর নাম রিজিয়া খাতুন (৩২)। সে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর গ্রামের মাজেদ গাজীর মেয়ে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালের ২৬ ফেব্র“য়ারি সকালে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের পুকুর থেকে পুলিশ এক নবজাতক শিশু কণ্যার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা (৬/২০১০) দায়ের করে।

লাশের ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে শ্বাসরোধ করে হত্যার বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ায় পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে ওই নবজাতককে হত্যার অভিযোগে ওই বছরের ৪ মে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের(জিআর ৮৪/২০১০) করে। কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক রবীন্দ্রনাথ মণ্ডলের দায়েরকৃত মামলায় রিজিয়া খাতুন ও কাশেম টাপালীকে আসামী শ্রেণীভুক্ত করা হয়। ৫ মে পুলিশ রিজিয়া খাতুনকে গ্রেফতার করে। রিজিয়া ওই দিনেই বিচারিক হাকিম মেহেদী আল মাসুদের কাছে ফেওজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে রিজিয়া সুলতানা উল্লেখ করেন যে, একই উপজেলার নলতা ইউনিয়নের পাইকাড়া গ্রামের বাবু টাপালীর ছেলে কাশেম টাপালীর কাছ থেকে নয় হাজার টাকা ধার নেয়। টাকা পরিশোধ না করার শর্তে ২০০৯ সালে কাশেম টাপালী উপজেলার হাজিপুরে একটি সমিতি থেকে ঋণ নেওয়ার পর পার্শ্ববর্তী একটি আম বাগানে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবতীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে আরো কয়েক বার ধর্ষণ করা হয়। ২০১০ সালের ২৫ ফেব্র“য়ারি রাতে তার প্রসব বেদনা উঠলে কাশেমকে জানায় রিজিয়া। বাড়ির পাশে ্ একটি নারকেলতলায় কণ্যা সন্তান জন্মানোর পর রিজিয়িা নবজাতকের পা ধরে রাখে। কাশেম টাপালি ওই নবজাতককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে মৃতদেহ আব্দুস সাত্তারের পুকুরের পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। দীর্ঘ ১১ মাস পর জামিনে মুক্তি পেয়ে রিজিয়া পালিয়ে যায়। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আজগার আলী ২০১০ সালের ২৯ জুন এজাহারভুক্ত দু’ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলার নথি ও ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য পর্যালোচনা শেষে বিচারক পলাতক আসামী রিজিয়া খাতুনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রতীয়মান হওয়ায় মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত রিজিয়া খাতুনকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দেন। অপর আসামী কাশেম টাপালী নির্দোষ প্রমানিত হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেন।

আসামীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাড. শাহ আলম ও অ্যাড. আকবর আলী। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন জজ কোর্টের অতিরিক্ত অ্যাড. সৈয়দ জিয়াউর রহমান বাচ্চু।



(টিএআর/এস/জানুয়ারি ২১,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test