E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

হত্যা রহস্য সাত দিনেও উদঘাটন হয়নি

নিরাপত্তার অভাবে বাড়ি ছাড়লেন সুমিত্রা মৃধার পরিবার

২০১৬ জানুয়ারি ২৫ ১৭:২৬:৪৩
নিরাপত্তার অভাবে বাড়ি ছাড়লেন সুমিত্রা মৃধার পরিবার

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : অবশেষে হত্যার সাত দিন অতিবাহিত হলেও সাতক্ষীরার শ্যামনগর সরকারি মহসিন ডিগ্রী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী সুমিত্রা মৃধার হত্যা রহস্য উদঘাটন হয়নি। তবে পরিবারের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সোমবার দুপুরে বাড়ি ছাড়লেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। হাসপাতালের দেওয়া সূত্র ধরে পুলিশ গত ১৯ জানুয়ারি একটি অপমৃত্যু মামলা করায় ময়না তদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত হত্যা মামলা দায়ের করা নিয়ে  আইনি জটিলতা দেখা দিয়েছে।

শ্যামনগর উপজেলার বাধঘাটা গ্রামের বিসিক কর্মকর্তা অরবিন্দ মৃধা জানান, জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি তার প্রতিপক্ষরা যেভাবে হুমকি দিয়েছিল তারই বাস্তবে রুপ দেওয়া হয়েছে। এরপরও পুলিশ তড়িঘড়ি করে অপমৃত্যু মামলা নিয়ে হত্যাকারিদের উৎসাহিত করেছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত থানায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা যাবে না বলায় তারা আরো ভেঙে পড়েছেন। পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে সোমবার দুপুরে তারা স্বপরিবারে বাড়ি ছেড়েছেন। এই মুহুর্তে তিনি স্ত্রী কবিতা মৃধার কর্মস্থল শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফ কোয়ার্টারে বসবাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, কয়েক মাস আগে বিরোধপূর্ণ জমিতে চাষ করতে বাধা দেওয়ায় অনুরাধা মণ্ডল , সুমিত্রা মণ্ডল ও অনুব্রত মণ্ডলকে হুমকি ধামকি দেয় প্রতিপক্ষ প্রতিবেশি পরিতোষ মণ্ডল , জটা মণ্ডল ও তপন মণ্ডলসহ তাদের স্বজনরা। নেপথ্যে থেকে পরিতোষ মণ্ডলকে মদত দিয়ে আসছিলেন সাবেক ইউপি সদস্য রাঙা আমিনুর। এমনকি অরবিন্দ মৃধা যা চাচ্ছে তা পাচ্ছে না বলে হুমকি দেয় প্রতিপক্ষরা। এভাবেই ত্রাসের মধ্যে দিন কাটছিল অরবৃন্দ মৃধা ও তার পরিবারের সদস্যদের। এমনই এক পরিস্থিতিতে গত ১৯ জানুয়ারি রাত সাড়ে সাতটা থেকে আটটার মধ্যে সুমিত্রাকে ঘরের মধ্যে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। লাশ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তারদের দেওয়া তথ্য মতে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়। পরদিন লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়। ১৯ জানুয়ারি রাতে নকীপুর মহাশ্মশানে লাশ সৎকার করার সময় প্রতিপক্ষ পরিতোষ মণ্ডল, তপন ও জটার নামে মামলা না করার জন্য নিহতের পরিবারের সদস্যদের সতর্ক করেন মাজাট গ্রামের মুকুল। পরিতোষ মণ্ডলের সহায়তাকারি বাধঘাটা গ্রামের হাতুড়ি মুকুল ও তার সহযোগি সাবেক ইউপি সদস্য রাঙা আমিনুরকে নিয়েূ সমালোচনার ঝড় ওঠে। শুক্রবার দুপুরে মৃতের বাড়ি থেকে আলামত জব্দ করে পুলিশ। তবে গত সাত দিনেও নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোরটি উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি সুমিত্রার ব্যবহতৃ মোবাইলের সিমটির নাম্বার নিয়ে কললিষ্ট যাঁচাই করেনি পুলিশ।

এ ব্যাপারে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক জানান, সুমিত্রার পরিবারের সদস্যদের বাড়ি ছাড়ার কথা তার জানা নেই। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার জন্য সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসারের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।


(আরএনকে/এস/জানুয়ারি২৫,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test