E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কাপাসিয়ায় আ'লীগ নেতার শ্যালকের দাপট, দর্শক ভূমিকায় পুলিশ

২০১৬ ফেব্রুয়ারি ০৭ ২০:০৪:৩৮
কাপাসিয়ায় আ'লীগ নেতার শ্যালকের দাপট, দর্শক ভূমিকায় পুলিশ

কাপাসিয়া(গাজীপুর)প্রতিনিধি : উপজেলা সদরে বানার হাওলা গ্রামের আকলিমা বেগম নামে এক বৃদ্ধা মহিলার জমি জোড় করে দখল করে নিল কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের শ্যালক এলাকার চাদাবাজ মাদকসেবী শাহীনুর। জমি দখনের পর থেকে আকলিমা বেগম উপজেলা নিবাহী অফিসার, ও স্থানীয় সংসদ সদস্যর কাছে আবেদন করে ও কোন সুরাহা করতে পারেনি বলে ও জানা যায়। উপায় না পেয়ে আকলিমা বেগম বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।(মামলা নং- ১৬৮(৩)১৬ তাং ২২-১-১৬)

ভোক্তভুগি আকলিমা জানান, গত বৃহস্প্রতিবার রাতে একই এলাকার সাবেক মরহুম বুইদ্ধা মেম্মবারের ছেলে ও কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের শ্যালক শাহীনুর এলাকার ভাড়া করা কয়েকজন সন্ত্রাসীদের নিয়ে জোড় করে আমার জমি দখল করেন নেয়। তিনি বলেন, শাহীনুর এর নেতৃত্বে আশরাফুল আলম, আল-আমিন,কবির, রুপ মিয়া সামসুল , রুহুল আমীন সহ ১০/১২ জনের একটি সস্ত্রাসী দল আমার জায়গা দখল করে একটি ঘড় নির্মাণ করেন। তাকে জিজ্ঞাসা করলে আমায় মেরে ফেলার হুমকি দেয়। জমি দখলের পর থেকে দখলদারদের বিরুদ্ধে কাপাসিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর পুলিশ নীরব ভুমিকা পালন করছে অভিযোগ করেন তিনি। মামলার পর থেকে পুলিশ আসামীদের পক্ষ নেয়ায় বাদি সহ তার পরিবার নিরাপক্তা হীনতায় ভুগছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আকলিমা বেগম তার স্বামী ও তার ছেলে সহ বিভিন্ন ভাবে রাজনৈতিক নেতাদের কাছে ধর্না দিয়েও জমি থেকে শাহীনুরকে উচ্ছেদ করতে পারেনি। আকলিমার ছেলে সাখাওয়াত হোসেন জানান, আমার নানার জমি তারা দেড়যুগ ধানের জমিতে চাষাবাদ করে আসছে। হঠাৎ আমার কাছে ২লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। আমি এবং আমার বাবার তার কথা মত ২লাখ টাকা চাদা পরিশোধ করি। কিন্তু কিছুদিন পর আবার আমাদের জমি দখল করে টাকা দাবি করে। এ ব্যাপারে আমি কাপাসিয়া উপজেলা সভাপতি শহীদুল্লাহ সাহেব ২ দফা বৈঠক বসে কোন ফয়সালা দিতে পারেনি। পরে বাধ্য হয়ে আমার মা কাপাসিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। এর পর থেকে আবার আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

ঘটনার পর থেকে কাপাসিয়া উপজেলার আওয়ামীলীগ নেতাদের মুখে কুলুব এটে বসে রয়েছে। কেউ যেন কিছুই জানে না। এ দিকে এ দখল নিয়ে আওয়ামীলীগ নেতাদের ভুমিকায় এলাকায় বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ কয়েকবার সালিশি বৈঠকে করে ও ব্যর্থ হয়েছে বলে ও জানা যায়। এলাকার চাদাবাজ মাদক সেবী শাহীনুর এর বিরুদ্ধে থানা পুলিশ জড়িত বলে এলাকাবাসী জানান। পুলিশের ছত্রছায়ায় এসব কর্মকাণ্ড করে আসছে দীর্ঘ দিন থেকে। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর একের পর এক এসব অপকর্মে করে যাচ্ছে বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়।

এ ব্যাপারে দখলকারী শাহীনুর জানান, আমার বাবার কিছু জমি আমি পাব তাই আমি জমি দখল করেছি। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, এ বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান জানান, দলের দোহাই দিয়ে কেউ জমি দখল করলে দল এর দায় বহন করবে না। আমি দখলদারের বিরেুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছি। কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন বিষটি মিমাংসা করে দেয়া হয়েছে। জমি থেকে ঘড় ভেঙ্গে ফেরার জন্য বলা হয়েছে। কাপাসিয়া থানার ওসি তদন্ত খান মো: আবুল কাসেম বলেন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এসকেডি/পি/ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test