E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সাংবাদিকদের একত্রিত থাকার আহবান সেলিম ওসমানের

২০১৬ ফেব্রুয়ারি ০৭ ২১:১০:০৮
সাংবাদিকদের একত্রিত থাকার আহবান সেলিম ওসমানের

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :সাংবাদিকদের নিজেদের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি না করে একত্রিত থেকে সাদাকে সাদা আর কালো কে কালো বলার আহবান জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান।

রবিবার(৭ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০টায় বন্দর উপজেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা, উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিকদের প্রতি তিনি এ আহবান রাখেন।

সভায় বন্দর প্রেসক্লাবের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ উপস্থিত সকল সাংবাদিকদের প্রতি আহবান রেখে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় যে কেউ আসতে পারেন। সাংবাদিক প্রতিনিধিরা প্রয়োজনে পুলিশের মত এক মাসের পেপার কাটিং নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে নিয়ে আসতে পারেন। যেখানে অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের পাশাপাশি পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের ভাল কাজ গুলোও তুলে ধরতে পারেন। কোন দুর্ঘটনা ঘটলে সেই ঘটনার দিন তারিখ, কারণ উল্লেখ রেখে মতামত প্রকাশ করতে পারেন।

কিন্তু দেখা যাচ্ছে আপনারা নিজেরাই নিজেদের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি করে ফেলছে। নিজেরা নিজেদের মধ্য থেকে কাউকে আওয়ামীলীগ, কাউকে বিএনপি আবার কাউকে জামায়াত বানিয়ে ফেলছেন। আজকে আমার পক্ষে লিখলে আমার লোক আর আমার বিপক্ষে লিখলে জামায়াতের লোক হয়ে যাবে এমন কোন কথা নয়। আপনাদের কাছে অনুরোধ রাখবো আপনারা নিজেদের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি করবেন না। আপনারা একত্রিত হোন। কারণ আপনাদের মাঝে বিভাজন থাকলে আপনাদের লেখালেখির কারণে সাধারণ মানুষের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি হয়। আপনারা সাদাকে সাদা কালোকে কালো বলবেন। কোন জনপ্রতিনিধি এমনকি আমিও যদি খারাপ কিছু করি তাহলে আমার বিরুদ্ধেও লেখবেন। পুলিশ খারাপ কিছু করলে পুলিশের বিরুদ্ধে লেখবেন। কিন্তু উদ্দেশ্য মূলক ভাবে কোন কিছু লিখবেন না। কারো বিরুদ্ধে কিছু লিখতে হলে ওই ব্যক্তিকে ফোন করে তার বক্তব্য নেওয়া আপনার অধিকার। আপনার জিজ্ঞাসার পর যদি ওই ব্যক্তি বিষয়টি এড়িয়ে যায় তাহলে সেই কথাটিই লিখবেন এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। কিন্তু কোন অবস্থায় একটি পক্ষের প্রভাবিত হয়ে কিছু লিখবেন না। এতে করে সাধারণ মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। সকলে একত্রিত হয়ে কাজ করলে অনেক ভয়ঙ্কর কাজকে স্বাভাবিক ভাবে করে ফেলা যায়।

বন্দর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মিনারা নাজমীন এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদ, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আ ক ম নুরুল আমিন, বন্দর প্রেসক্লাবের সভাপতি কমল খান, সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন, ধামগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আয়নাল হক, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান, মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ সালাম প্রমুখ।

হুমকি বা হুশিয়ারী দেই নি, আলোচনার আহবান জানিয়েছি, সকলের সহযোগীতা চাই : সেলিম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াত আইভীর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেছেন, আমি কোথায় কোন ধরনের হুমকি বা হুশিয়ারী দেইনি। আমি শুধু আলোচনায় বসার আহবান জানিয়েছি। আমার সব কাজ হয়তো আপনার পছন্দ নাও হতে পারে। আপনার কাজের মধ্যেও হয়তো ভুল ত্রুটি থাকতে পারে একজন সংসদ সদস্য হিসেব সেই কাজ গুলো আমার ভাল নাও লাগতে পারে। এমনকি উভয়ের কাজ উভয়ের কাছে পছন্দ নাও হতে পারে। সে জন্যই আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। সেই প্রয়োজন বোধ থেকেই আমি আলোচনার আহবান জানিয়েছি। কদমরসুল কলেজের জায়গা হয়তো সিটি করপোরেশনের কিছু জমি আছে। আমি আমার জন্য না, এলাকার মানুষের জন্য না, ভোটের জন্যও না আমি আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের শিক্ষার মান্নোয়নে কদমরসুল কলেজকে অত্যাধুনিক পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করার ঘোষণা দিয়েছি। ভবিষ্যত প্রজন্মের উজ্জল ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমি আবারও বিষয়টি নিয়ে আলোচনার আহবান জানাচ্ছি। কদমরসুল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করতে দলমত নির্বিশেষে সকলের সহযোগীতা প্রয়োজন। আপনারা সকলে সহযোগীতা করলে আগামী ৩ বছরের মধ্যে কদমরসুল কলেজকে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা সম্ভব হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

রোববার(৭ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০টায় বন্দর উপজেলা পরিষদের শিল্পকলা একাডেমী ভবনে বন্দর উপজেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় উপদেষ্টা হিসেবে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি মেয়র আইভীর প্রতি এ আহবান রাখেন।

মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষন তিনি আরও বলেন, নবীগঞ্জ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার কাজ চলছে। নবীগঞ্জে কদম রসুল কলেজ, নবীগঞ্জ গার্লস স্কুল ও একটি সিমেন্ট কারখানা রয়েছে। ওই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন হাজারো শিক্ষার্থী ও শ্রমিকেরা যাতায়াত করে থাকে। সামনে বৃষ্টির মৌসুম আসছে। বৃষ্টি হলে ওই রাস্তা দিয়ে হাজারো শিক্ষার্থীর পায়ে হেটে স্কুল কলেজে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে। যাতায়াত দুর্ভোগের কারণে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তাই আমি মেয়রের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ রাখবো যাতে করে দ্রুত নবীগঞ্জ এলাকায় রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, নবীগঞ্জ খেয়াঘাটের যাত্রীদের আরও উন্নত সেবার ব্যবস্থা করা হবে। প্রয়োজনে সেখানে ট্রলার সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হবে যাতে করে শুধু বন্দর নয় সদর এলাকার শিক্ষার্থীরাও যেন কদম রসুল কলেজে ভর্তি হয়ে পড়ালেখা করতে পারে।

এছাড়াও তিনি বন্দর উপজেলায় অবস্থিত ২টি কলেজ ও ২১টি স্কুল নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার পরার্মশ দিয়ে বলেন, ২টি কলেজ ও ২১টি স্কুল পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দদের নিয়ে একটি শিক্ষার মান্নোয়ন কমিটি গঠন করতে হবে। যাতে করে ওই কমিটির সাথে আলোচনায় বসলে ঘোটা উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারি। অনেক সময় স্কুল কলেজের জন্য সরকারী বরাদ্দ আসে। সময় বেধেঁ দেওয়া হয় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বরাদ্দের অনুমোদন দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ থাকে। স্কুল গুলো অবস্থা সম্পর্কে জানা না থাকার কারণে তড়িগড়ি করে দিয়ে দিতে হয়। আমি সকলের সহযোগীতা চাই। সম্মিলিতভাবে কাজ করার মধ্য দিয়ে উন্নয়ন কাজ করে যেতে চাই।

উন্নয়ন দুটি ধারা মধ্য দিয়ে পরিচালিত হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুটি ধারায় উন্নয়ন কাজ পরিচালিত হয় একটি হচ্ছে শিক্ষার বিস্তারে মানোন্নয়ন ও শিল্পায়ন করা। কৃষি কাজের মধ্য দিয়েও শিল্পায়ন করা যেতে পারে। যে বাড়িতে একটি গরু বা ৫০টি মুরগি পালন করা হবে সেই বাড়িতে কোন দিন তিতাস গ্যাসের প্রয়োজন হবেনা এবং গ্যাসের অভাব হবে না। পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন করতে পারলে দেখা যাবে আমরা প্রাকৃতিক পরিবেশ বজায় রেখে আধুনিক জীবন যাপন করতে পারবো।

বন্দর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মিনারা নাজমীন এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদ, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আ ক ম নুরুল আমিন, বন্দর প্রেসক্লাবের সভাপতি কমল খান, সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন, ধামগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আয়নাল হক, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান, মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ সালাম প্রমুখ।

(এডিএইচ/এস/ফেব্রুয়ারি০৭,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

০৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test