E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

লোহাগড়ায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে টিআরের ৮ প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

২০১৬ ফেব্রুয়ারি ১৩ ১২:৪৫:৫৭
লোহাগড়ায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে টিআরের ৮ প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রতিনিধি,লোহাগড়া (নড়াইল)প্রতিনিধি :নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান লাবু মিয়া ও মাকড়াইল গ্রামের ইউপি সদস্য (ওয়ার্ড-১) আলমগীর হোসেন টিআরের ৮ প্রকল্পের পুরো টাকা আত্মসাৎ করেছেন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে গত ৪ ফেব্রুয়ারি এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
উপজেলা পিআইও কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে বিশেষ কর্মসূচির আওতায় উপজেলার শালনগর ইউনিয়নে ১৫ টি প্রকল্পে নগদ ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ৪০ হাজার টাকা করে প্রতিটি প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল । কাজ শেষের মেয়াদ ছিল গত ৩০ জুন। এর মধ্যে মাকড়াইল গ্রামে রয়েছে ৮টি প্রকল্প। এ প্রকল্পগুলো হলো লে. মতিউর রহমান স্মৃতিফলক সংস্কার, মাকড়াইল শহীদ আ. রাজ্জাক মোল্যার স্মৃতিফলক সংস্কার, মাকড়াইল নতুন বাজার জামে মসজিদ সংস্কার, মাকড়াইল পুরাতন জামে মসজিদ সংস্কার, মাকড়াইল পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদ সংস্কার, মাকড়াইল হাজীপাড়া জামে মসজিদ সংস্কার, মাকড়াইল মধ্যপাড়া জামে মসজিদ সংস্কার ও মাকড়াইল নূরানী মাদ্রাসা সংস্কার।

পিআইও কার্যালয় সূত্রে আরো জানা গেছে, এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির ৩ টির সভাপতি ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন, ২ টির সভাপতি তাঁর ভাই জাকারিয়া এবং অন্য ৩ টির সভাপতি এনায়েত মেম্বর। আলমগীর হোসেন বলেন, ‘এসব প্রকল্প তদবির করে বরাদ্দ করিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান লাবু মিয়া। এর আমি কিছইু জানি না।’

মধ্যপাড়া জামে মসজিদের পৃষ্ঠপোষক বাদশা মোল্লা, পুরাতন জামে মসজিদ ও নূরানী মাদ্রাসার সভাপতি আলাউদ্দীন শিকদার এবং হাজীপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি শাহাদত হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ৮ টি প্রকল্পের পুরো বরাদ্দের টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। প্রকল্প গুলোতে বরাদ্দের খবর গত ১০-১২দিন আগে প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও গ্রামবাসী জানতে পেরে ক্ষুব্দ হয়ে ওঠেন। পুরো এলাকায় এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এরপর গ্রামের লোকজন উপজেলা পরিষদে গিয়ে ইউএনও ও পিআইওর কাছে এ বিষয়ে জানতে চান। ইউএনও তাঁদেরকে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করার পরমর্শ দেন। এরপর তাঁরা ৪ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

লাবু মিয়া জানান, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষ দাবি করার পর তাদের কিছু টাকা দিতে চেয়েছি, কিন্তু তাঁরা নিচ্ছে না। ইউএনও মো. সেলিম রেজা বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে জেলা প্রশাসককে জানাবো।’


(আরএম/এস/ফেব্রুয়ারি১৩,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test