E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আশাশুনিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংঘর্ষে আহত ২৬

২০১৬ ফেব্রুয়ারি ২০ ১৫:৫৬:১০
আশাশুনিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংঘর্ষে আহত ২৬

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার আশাশুনির শ্রীউলা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ২৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদের আশাশুনি  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।

এ ঘটনার পর পুলিশের উপস্থিতিতে বর্তমান চেয়ারম্যানের লোকজন প্রতিপক্ষের সমর্থকদের বাড়ি ঘরে হামলা ও মারপিট করেছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

আহতদের মধ্যে সাবেক চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিলও রয়েছেন।

শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার মহিষকুড় এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ধারালো দা ও লাঠিসোটা ব্যবহার করা হয়।তবে পুলিশ বলছে সংঘর্ষ কিল ঘুষির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কারও বাড়ি ঘরে কোনো হামলা বা ভাংচুর হয়নি।

শ্রীউলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি আহত নুর মোহাম্মদ সরদার জানান, চেয়ারম্যান পদে তৃণমূল পর্যায়ে বাছাইকালে তিনি ৬৫ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৫৫ ভোট পেয়ে একক প্রার্থী ঘোষিত হন। সে অনুযায়ী তার নাম উপজেলা সেক্রেটারি জেলায় প্রেরণ করেন । তবে জেলা থেকে তার নাম এক নম্বরে এবং বর্তমান চেয়ারম্যান সাকিলের নাম দুই নম্বরে লিখে পাঠানো হয়। কেন্দ্র তাদের মধ্য থেকে আবু হেনা সাকিলকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা দিলে এলাকা জুড়ে ক্ষোভের সঞ্চার হয়’।

নুর মোহাম্মদ আরও জানান আজ শনিবার সকালে দলের কর্মী সমর্থকদের অনুরোধে তিনি তিন চারটি মোটর সাইকেল নিয়ে এলাকার মাড়িয়ালায় যান। সেখান থেকে ফিরবার সময় চেয়ারম্যান মনোনীত প্রার্থী আবু হেনা সাকিল ও তার ছেলে সাদ তার ওপর হামলা করে । তাকে ধারালো দা দিয়ে কোপাতে শুরু করলে সমর্থকরাও এগিয়ে আসেন । তারাও একে একে হামলার শিকার হন। তিনি জানান তার সমর্থক কমপক্ষে আট জন আহত হন। এ সময় মহিষকুঁড় বাজারের লোকজন তাদের প্রতিহত করতে সাকিল গ্রুপের ওপর পাল্টা হামলা চালায় । এতে তারাও কয়েক জন আহত হন’। তিনি জানান এর পরপরই আশাশুনি থানা থেকে পুলিশ এলে সাকিলের সমর্থকরা শ্রীউলা গ্রামে নুর মোহাম্মদ সমর্থকদের বাড়িতে বাড়িতে হামলা চালায় । তারা তাদের বাড়িঘরও ভাংচুর করতে থাকে । নুর মোহাম্মদ জানান তিনি ও তার সমর্থকরা এখন প্রাণ ভয়ে আত্মগোপন করে রয়েছেন।

এদিকে চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল বলেন ‘নুর মোহাম্মদ মাড়িয়ালা গ্রামে এসে বলেন যে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নৌকার বিপক্ষে লড়বেন। তিনি নৌকায় ভোট না দেওয়ার জন্যও উসকানিমূলক কথাবার্তা বলেন’। সাকিল দাবি করেন নুর মোহাম্মদ সরদারের লোকজনই তার ওপর প্রথমে হামলা চালায়। এতে তার পক্ষের ১৮ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন নুর মোহাম্মদ গ্রুপের মুকুল, ইয়াসিন,রাশেদ,শাহেদ এবং সাকিল গ্র“পের সোহরাব রায়হান, শামীম, কোহিনুর, মতি, হামিদ, মোস্তফা, মুস্তাাফিজ, রমজান, সিরাজুল ও আসাদুল।

আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুলিশের উপস্থিতিতে নুর মোহাম্মদ সমর্থকদের বাড়িতে কেউ হামলা করেনি। ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, মনোনয়ন প্রাপ্তির আনন্দ আর না পাওয়ার বেদনার কারণে দুই পক্ষে কিল ঘুষি মারার মতো কিছু ঘটনা ঘটেছে। এতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর মতো কোন ঘটনা ঘটেনি’।

(আরকে/এএস/ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test