E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ বীরাঙ্গনাকে সম্মাননা

২০১৬ এপ্রিল ০৩ ১৩:০৭:১৩
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ বীরাঙ্গনাকে সম্মাননা

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ)প্রতিনিধি : স্বাধীনতার সংগ্রামে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে নিজেদের স্বজন,সহায় সম্পদ বিলিয়ে মাতৃভূমি রক্ষা করেছেন সেই সব মহান মুক্তিযোদ্বা বীরাঙ্গনা নারীদের সম্মাননা প্রদান করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ৪৬ তম বর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে এই মহীয়সী ৪ জন বীরাঙ্গনাকে এ সম্মাননা দেয়া হয়।

এ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডঃ মোহীত উল আলম বলেন ,আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা নিজেদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমাদের এই স্বাধীনতা এনে দিয়েছে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তাদের ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অবদান কোন অংশে কম নয়। বীরাঙ্গনাদের ত্যাগ একটি বিরাট ব্যাপার। তাদের এবং শহীদদের ত্যাগ আমরা কোন কিছুর বিনিময়ে শোধ করতে পারব না। এবছর চারজন বীরঙ্গনাকে সম্মাননা দেওয়া হলো, ভবিষ্যতেও এটি অব্যাহত রাখা হবে।’

বঙ্গবন্ধুকে পাঠ্যসূচীতে অন্তর্ভূক্ত করতে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে মাননীয় উপাচার্য বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে এ্যাকাডেমিক টেক্সট হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করতে না পারলে তাকে সঠিক মূল্যায়ণ করা হবে না। কমিটি করে অথবা আগামী এ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বিষয়টি এনে কার্যকর করা হবে।’

সম্মাননা প্রাপ্ত বীরাঙ্গনা ফুলপুরের ময়মনা খাতুন, হালিমা খাতুন, জাহেরা খাতুন এবং ফাতেমা খাতুন। সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে নিজের অনুভুতি ব্যক্ত করতে গিয়ে ফাতেমা খাতুন বলেন মাতৃভুমি রক্ষা করার জন্য নিজের পরিবার পরিজন,সহায় সম্পদ ফেলে দিয়ে যুদ্ধে শরীক হয়। এই মহান যুদ্ধে আমাদের মা ও বোনদের অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। আমরা একটি সুখী সমৃদ্ধ দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি। আমি এই সম্মাননা পেয়ে অনেক আনন্দিত। এখন অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছে যারা অবহেলিত আমার দাবি আমরা যেন জাতীর বীর সন্তানদের সম্মান করি।

অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বীরাঙ্গনা জাহেরা খাতুন এ প্রতিনিধির কাছে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন,মুািক্তযুদ্ধের সে সময়ের কথা গুলো স্মরণ হলে এখনও গা শিওরে আমরা আর কিছু চাইনা শুধু আমাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু চাই।

এ উপলক্ষে বিশ্বদ্যিালয়ের গাহি সাম্যোর গান মঞ্চে অনুষ্ঠিত আলোচনা অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম -এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্মমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন ট্রেজারার প্রফেসর এ এম এম শামসুর রহমান,বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খান,ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সুব্রত কুমার দে,কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো: মাহবুব হোসেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো: হাবিবুর রহমান,বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ছাব্বির আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক আপেল মাহমুদ।


(এমআরএন/এস/এপ্রিল০৩,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test